রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
“ভাসিয়ে না দিলে তো কবুল করেন না, আশা করছি আমাকে আর কখনো কোথাও গান গাইতে দেখবেন না। ইনশাল্লাহ যেমন আমার মরণ কালেও ফিরে আসা দিন হবে।”
গত ৫ মার্চ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আরেফিন রুমি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমনই এক পোস্ট করে ভক্তকূলকে জানিয়ে দিলেন তিনি আর কোনোদিন গাই গাইবেন না।
এছাড়াও, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনে তিনি হাদিস ও কোরআনের বাণী এবং মসজিদের ছবি শেয়ার করে চলেছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি গানের জগৎ থেকে দূরে। গুঞ্জন ছিল তিনি গান ছেড়ে দিচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে ধর্মীয় বিষয়ে আরেফিন রুমী গভীর মনোযোগী হয়েছেন যার কারণে তাকে আর গানে দেখা যাচ্ছে না। অদৌ গানে ফিরবেন কি-না, এ ঘোষণার পর সেটা আরো অস্পষ্ট হলো।
অারেফীন রুমীর ওই পোস্টে তার এক ভক্ত আল আমি সুমন লিখেছেন, “ভাল লাগলো ভাই,দোয়া করি আপনি যাতে আপনার ওয়াদার খেলাপ না করেন। আর গান গাইতে হবে না। যা গাইছেন,তা ই আমাদের সারাজীবন মনের মধ্যে দোলা দিবে। আপনি খুব ভাল সূরা পাঠ করতে পারেন,আপনার অনেকগুলো লাইভ দেখেছি। আল্লাহ আপনাকে সেই সূর দিয়েছেন শুধূ আল্লাহর ইবাদত করার ই জন্য। আমি জীবনে এই প্রথম দেখলাম, মিডিয়া জগতে এই একজন ই আছে,তিনি আপনি। যে কিনা এত সুন্দর কন্ঠে সূরা পাঠ করেন এবং কোরআন তিলওয়াত করতে পারেন ”
নয়ন খান নামের এক ভক্ত আরেফীন রুমীকে ইসলামিক গান গাওয়ার পরামর্শ দিয়ে লেখেন “ একটা সময় গিয়েছিলো রুমির গান কখন বের হবে! মিউজিক মানে রুমি ছিলো! আপনি ইসলামিক গান গাইতে পারেন। আমি মনে করি, আপনার যে কন্ঠ ও সুর, ইসলামিক গানগুলো ভালো ফুটে উঠবে। আর আপনাকে আল্লাহ কবুল করুক “
উইকিপিডিয়া বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলা গানের একতরফা রাজত্ব ছিল তার। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র সংগীতশিল্পী যার আমেরিকাতেও স্টুডিও আছে।
হাবিব ওয়াহিদ ও ফুয়াদ আল মুক্তাদির ছিল প্রেরণার উৎস। গানের ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতাও পেয়েছেন। তিনি ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান এর কাজগুলো দ্বারা প্রভাবিত। গানের জগতে আসার আগেই (২০০৬ সালে) মডেল এর খাতায় নাম লেখান তিনি।
রাসুলের শানে গান গাইলেন আরফিন রুমি