মুজাহিদুল ইসলাম: গত কয়েক বছরে বিবাহ বিচেছদ ও বিয়ের প্রতি যুবকদের অনিহার কারণে তুরস্কে আশংকাজনকভাবে জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টির সরকার পুরাতন আইনের কিছু সংস্কার ও বিবাহিতদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশেষভাবে যারা একাধিক সন্তান জন্ম দিবে তাদের জন্য রাখা হচ্ছে বিশেষ সুবিধা।
বিশেষঞ্গরা মনে করেন, তুকিদের বিলম্বে বিয়ে করা ও একের বেশি সন্তান না নেয়ার জন্য কারণ তাদের অর্থনৈতিক অবস্হা। যেখানে ১৯৩৫ সালে সন্তান জন্মহার ছিল শতকরা ৪৫ পার্সেন্ট সেখানে গত বছরের হার ছিল শতকরা ২৯পার্সেন্ট, যা তুর্কি নেতৃত্ত্বকে ভাবিয়ে তুলেছে।
তুর্কি সরকার ইতোমধ্যে বিয়ের জন্য ঋণ দিচ্ছে; প্রায় জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে বাড়ি করার জন্য লোন দিচ্ছে বরং গত বছর হতে নবজাতকদের উপঢৌকনও দিচ্ছে, তাতে একটি পরিবারে যত সন্তানই জন্মগ্রহণ করুক না কেন!
ইস্তাম্বুলের মুহাম্মাদ ফাতেহ ভার্সিটির প্রফেসর আয়েশা বলেন, তুর্কিদের আয় বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও জীবন-যাত্রার মান হ্রাস পাওয়া ও যুবতীদের অধ্যায়নই বিলম্বে বিয়ে ও একের বেশি সন্তান না নেওয়ার মূল কারণ।
তা ছাড়া এ-জন্য সরকারের নেয়া পদক্ষেপ যথেষ্ঠ নয়; আবার অর্থনৈতিক সহযোগিতা সবার জন্যও নয়। বরং ২৫ বছর বয়সের নিচের যুবকদের জন্য, অথচ পড়াশোনা ও বিয়ের জন্য অর্থনৈতিক প্রস্ততি গ্রহণেই ২৫ বছর পেরিয়ে যায়।
তুর্কি সরকার গত তিন বছর ধরে বেশ কিছু অর্থনৈতিক প্রণোদনার ব্যবস্হা করেছে; যে নারীদের আড়াই বছরের সন্তান আছে, তাদের জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি ডে-কেয়ার সাপোর্ট রাখা হয়েছে।
গত বছর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান একাধিকবার তুর্কি নারীদের কমপক্ষে তিনটি সন্তান নেয়ার আহবান জানান।
আবার নবজাতকদের জন্যও রয়েছে উপঢৌকোন; প্রথম সন্তান ৭৯, দ্বিতীয় সন্তান১০৫ ও তৃতীয় সন্তান ১৫৭ মার্কিন ডলার সমমূল্যের সোনার মেডেল।
সূত্র: আল আরাবি জাদিদ