আবদুল্লাহ তামিম: ব্যবসা নবী মুহাম্মাদ সা. এর সুন্নাত। আমাদের নবী ব্যবসা করেছেন। ব্যবসা কররেছে সাহাবায়ে কেরামও। হযরত আবু হুরায়রা রা. ও হযরত আলী রা.সহ বহু সাহাবি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শুধু আমাদের নবীই নয়। বহু নবী ও নবীর পরিবারের সদস্যগণ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রা. থেকে আবদুর রহমান বিন আওহাফ পর্যন্ত তাদের বেশির ভাগই বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনযাপন করেছেন।
ব্যবসা ইসলামেরই একটি ঐতিহ্য আখ্যান। ইসলামিক মূল্যবোধে ব্যবসার গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন মুসলিম ব্যবসায়ী সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০ মুসলিম ধনী ব্যবসায়ীকে উপস্থিত করবো আজ।
প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল- ২৬.১ বিলিয়ন ডলার অর্থের মালিক
তিনি সৌদি আরবের হোল্ডিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। এ নামে তার অনেকগুলো হোটেল, ব্যাংক, গণমাধ্যম ও পেট্রোলিয়াম কোম্পানী রয়েছে।
এসব ছাড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোটানা মিডিয়া গ্রুপ। আল-ওয়ালিদ সৌদি রাজকীয় পরিবারের একজন সদস্য। তার অর্জিত অর্থের আনুমাণিক পরিমাণ ২০১৫ সাল অনুযায়ী ২৬.১ বিলিয়ন ডলার।
আলিকো ড্যানগোট - 18.3 বিলিয়ন ডলার অর্থের মালিক
একজন নাইজেরিয়ান ব্যবসায়ী তার সম্পদের পরিমাণ ১৮.৩ বিলিয়ন ডলার। ড্যানগোট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। তার কোম্পানি নাইজেরিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলিতে কাজ করে।
যেমন বেনিন, ক্যামেরুন, ঘানা, দক্ষিণ আফ্রিকা, টোগো, তানজানিয়া এবং জাম্বিয়া।
আজিম হাশেম প্রেমজি- ১৭.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক
তিনি উইপ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান। একটি হাইড্রোজেনেটেড রান্নার মেশিন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
তার এ কোম্পানি বিশ্বব্যাপী অনেক সাড়া জাগায়। অনেক অর্থ এ কোম্পানির মাধ্যমে উপার্জন করেন তিনি।
মুহাম্মদ আল-আমাউদি- ১১ বিলিয়ন ডলারের মালিক
মুহম্মদ আল আমাউদি একজন টিভি উপস্থাপক। তিনি তার ব্যবসায়ে ব্যক্তিগতভাবে ১১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আরবীয় ও ইথিওপিয়ার বিভিন্ন সোনার খনি আর তেলের শোধনাগারে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছেন।
ইথিওপিয়া (আদ্দিস টাওয়ার) এর প্রায় ৬৩ ভাগের মালিক। এছাড়াও সিমেন্ট উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণে বিনিয়োগ করেছেন এ ব্যবসায়ী।
মুহাম্মদ বিন ইসা আল জাবের - ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক
মুসলিম ব্যবসায়ী হিসেবে তার নাম ডাক আছে যতেষ্ট। মুহাম্মদ বিন ইসা আল-জাবের এমবিআই ইন্টারন্যাশনাল ও পার্টনার্সের চেয়ারম্যান ও সিইও।
এই গ্রুপটি সারা বিশ্ব জুড়ে JW হোটেল ও রিসোর্ট স্থাপনের কাজ করে।
শহিদ খান - ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক
৪.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি পাকিস্তানি আমেরিকান ধনকুবের ব্যবসায়ী তিনি জাতীয় ফুটবল লিগ (এনএফএল), ইংলিশ ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের ফ্যামিলাম এফসি সিটির জ্যাকসনভিল জাগুয়ার এবং ইলিনয়ের অরবানাতে অটোমোবাইলের যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফ্লেক্স-এন-গেটের মালিক।
ইস্কান্দার মোখমডব- তিনি ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক
৩.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি উজবেকিস্তানি ব্যবসা আছে তার। তিনি রাশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম লৌহঘটিত ধাতু কোম্পানির প্রধান মালিক। অন্যতম বৃহত্তম তাম্র উত্পাদক হিসাবে আউটপুট কোম্পানিরও মালিক তিনি।
নাজিব মিকাতি - ৩.২ বিলিয়ন ডলারের মালিক
৩.২ বিলিয়ন ডলারের একটি টেলিকম কোম্পানি বিনিয়োগ থেকে তার সম্পদের একটি বড় অংশ অর্জন করেছেন তিনি। লেবাননে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।
মিকাতি এক সময় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু সিরিয়ার সাথে ৩ বছরের সম্পর্কের পর পদত্যাগ করেন। তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে নগদ ও স্টক জন্য একটি হোল্ডিং কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন।
সুলাইমান কিরিমভ ৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক
৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের মালিকএই রাশিয়ান ব্যবসায়ী। এয়ারলাইনস ও ব্যাংকিং শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশিরভাগ সম্পত্তির মালিক হন।
তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং২০০৮ সাল থেকে ফেডারেশন কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ইউটিলিটি কোম্পানীর বিনোয়োগকারী হয়ে অর্থ উপার্জন করেন।
সৈয়দ মুখতার আল বুখারী -২.১ বিলিয়ন ডলারের মালিক
২.১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সৈয়দ মুখতার আল-বুখারী বিভিন্ন ব্যবসার মধ্যে বিনিয়োগ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ, সম্পত্তি উন্নয়ন অন্যতম।
তিনি কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি। বাবার মাংসের ব্যবসা গ্রহণ করে শুরু করেছিলেন জীবন চলা। তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ৮ম ধনী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
সূত্র: মুসলিম ইনক