শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ; কানে বাজে সেই চেনা আওয়াজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনূর শাহীন: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রেসকোর্স তথা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা আজো ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

সে সময়ের পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করতে না দিলেও বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ এখন বিশ্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্বব্যাপী অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত মানুুুষের কন্ঠধ্বনি হিসেবে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ অমূল্য বিশ্বসম্পদ ও ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তা সংরক্ষণ করার এবং বিশ্বব্যাপী প্রচারণার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গত বছর ইউনেসকো’র এক ঘোষণায় ঐতিহাসিক এ ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ স্থান দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ ছিলো কার্যত সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।

সেদিনকার ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, ‘মনে রাখবা-রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো; এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ’।

এই একটি মাত্র ভাষণই বাঙালির চেতনার বাতিঘর। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সঙগ্রামের প্রচ্ছন্ন ঘোষণা লুকিয়ে ছিলো।

পাকিস্তান সরকার এই ভাষণ সম্প্রচার করতে না দিলেও ইতিহাসে তা মহাকাব্য হয়ে আজো টিকে আছে স্ব-মহিমায়। ৭ মার্চ এলে মাঠে-ঘাটে বেজে উঠে বঙ্গবন্ধুর সেই চিরচেনা দৃপ্ত কন্ঠের ঝাঁঝালো আওয়াজ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ