মাওলানা হাসান জামিল
সিলেট হরিপুর আসলাম। উদ্দেশ্য হরিপুরবাসীর সাথে একাত্বতা ঘোষণা, শহীদের কবর যিয়ারাহ এবং দরবস্ত আলমানসুর মাদরাসার দোয়ার মাহফিলে অংশগ্রহণ।
আলহামদুলিল্লাহ সবই হল। মুজাহিদে মিল্লাত হযরত আব্দুল্লাহ হরিপুরী রহ. প্রতিষ্ঠিত হরিপুর মাদরাসার আসাতিযাদের থেকে পুরো ঘটনার বিবরণ শুনলাম।
টার্গেট আসলে ছাত্ররা ছিল না, টার্গেট ছিল মাদরাসার একজন মুহাদ্দিস। যিনি সে এলাকারই বাসিন্দা। হযরতের জোড়ালো ভূমিকার কারণে মুশরিক আটরশির মুরিদরা সুবিধে করতে পারছিল না।
ক'দিন আগে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আপোষ হয়- কোন প্রোগ্রাম হলে স্থানীয় আলেমদের সাথে পরামর্শ করেই করতে হবে। সে হিসেবেই তারা হযরতকে দাওয়াত করে।
বিদআতি বক্তা যখন বলে, ‘আল্লাহর রাসূল বলেছেন انا نور من نور الله মানে আমি আল্লাহর নূর, তখন হযরত জানতে চান এটা হাদিসের কোথায় আছে? ব্যস শুরু হয় পূর্বপরিকল্পনামত উপর্যপূরী হামলা।
স্টেইজের নিচ থেকে বেরিয়ে আসে রড, লাঠি, দাসহ নানারকমের দেশীয় অস্ত্র।
নিজেদের উস্তাদকে আক্রান্ত হতে দেখে বসে থাকতে পারেনি ছাত্ররা। এ যেন ওহুদের ময়দান। আল্লাহর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্য সাহাবায়ে কেরাম রা. যেমন মানব ঢাল তৈরি করেছিলেন, সাহাবাদের জীবন্ত নমূনা ওলামায়ে দেওবন্দের আদর্শের সৈনিক ছোট্ট ছোট্ট মাদরাসার ছাত্ররাও স্বীয় উস্তাদকে রক্ষায় তৈরি করেছিল মানব ঢাল।
শহীদ মোজ্জাম্মেল আলী রহ. নিজের শরীরটা পেতে দিয়েছিল শত্রুর আঘাত ঠেকাতে, নিজের প্রাণপ্রীয় উস্তাদকে বাঁচাতে। উস্তাদকে বাঁচিয়ে নিজে জান্নাতের মেহমান হয়েছে।
শহীদ মোজ্জাম্মেল আলী রহ. নিজের জীবন দিয়ে আমাদের পরিচয় তুলে ধরেছে। আমরা শিক্ষকের শার্ট ছিঁড়ি না, কলার চেপে ধরি না; আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের এ ঘটনাগুলো স্যার জাফর ইকবালদের আফসোস বাড়াতেই থাকবে... رضينا قسمة الجبار فينا؛ لنا علم وللاعداء مال
শত্রু পেল সম্পদের পাহাড় আমরা ইলমে ধন্য, আহা-এর স্বাদ যদি বুঝতে, বুঝতে সম্পদ গৌন!
লেখক: আলেম, মুহতামিম, খতিব এবং ওয়ায়েজ