শাহনাজ শারমিন
শিশুর মন কাদা মাটির মতো, তাই এই সময় সে যা শুনে এবং দেখে তা তার মনে গেঁথে যায়। শিশুরা নিষ্পাপ ও সংবেদনশীল এবং ওদের স্নেহ ও মমতা দিয়ে বড় করতে হয়।
পিতামাতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক বন্ধুর মত হতে হয় যেন তারা তাদের সব কথা একে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। যদি সন্তান পিতামাতার সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পায় কিংবা পিতামাতার ব্যস্ততার জন্য যদি সন্তানকে সময় দিতে না পারেন, তাহলে সেটা সন্তানের জন্য মোটেই ভালো নয়।
জীবনের গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়গুলো সন্তানকে শেখানোর দায়িত্ব পিতামাতার। পিতামাতার উচিৎ সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেয়া। শব্দ অনেক বড় প্রভাবক। আপনার ছোট একটি বাক্যই তাকে আপনার প্রতি অনুগত হতে সাহায্য করবে, এর ফলে আপনি তাকে ভালো আচরণ শেখাতে পারবেন।
শিশুর মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হওয়ার জন্য কিন্তু এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা প্রয়োজন। এতে স্কুল বা লেখাপড়া সম্পর্কে কোনো ভীতি নিয়ে সে মা-বাবার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে। স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুকে জিজ্ঞেস করতে পারেন এমন কিছু কথা জেনে নিই আসুন।
১. স্কুলের কোন জায়গাটি খুব ভালো লাগে তোমার?
২. আজকে সবচেয়ে মজার কী ঘটেছে?
৩. আজকে কি কেউ তোমাকে সাহায্য করেছে?
৪. ক্লাসে আজ কে তোমার পাশে বসেছিল? তার সঙ্গে বসতে তোমার ভালো লেগেছে?
৫. কোন বিষয়টি আজ তোমাকে খুব হাসিয়েছে?
৬. কোন বিষয়টি খুব বিরক্তিকর ছিল আজ?
৭. টিফিনের বিরতিতে কার সঙ্গে খেলা করেছ?
৮. ক্লাসের সবচেয়ে মজার মানুষটি কে?
৯. ক্লাসের সবচেয়ে রাগী তোমার কাকে মনে হয়?
১০. শিক্ষকের সঙ্গে আজ কী করেছ?
১১. কোন শব্দটি শিক্ষক আজ বেশি উচ্চারণ করেছেন?
১২. আজকে কেউ কি ক্লাসে কেঁদেছিল?
১৩. শিক্ষক কি এমন কিছু শিখিয়েছে, যা তুমি একেবারেই বুঝতে পারনি?
১৪. স্কুলের কোন নিয়মটি তোমার কাছে খুব কঠিন মনে হয়?
১৫. তোমার কোন বিষয়টি শিক্ষকের আজ ভালো লেগেছে?
১৬. তোমার কোন বিষয়টিতে শিক্ষক বিরক্ত হয়েছেন?
১৭. আজ কি নতুন কোনো শব্দ শিখেছ?
১৮. পাঠদানের কোন বিষয়টি তোমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
১৯. তুমি কি স্কুলের ওয়াশরুম ব্যবহার করেছ? সেখানে যেতে কি তুমি নিরাপদ বোধ করেছ?
এছাড়াও এমন কিছু শেখান যা আপনার শিশুর জন্য শেখা প্রয়োজন। এই যেমন: ‘সারা দিন তোমার কেমন কাটলো’? ‘তুমি জয়ী হয়েছো’ ‘আমি তোমাকে বিশ্বাস করি’ ‘হাল ছেড়ে দিয়ো না’ ‘অন্যকে সাহায্য করো’।
মনে রাখবেন আপনি আপনার সন্তানকে যে বিষয় গুলো শিখাচ্ছেন সেই বিষয় গুলো আপনাকেও পালন করতে হবে না হলে আপনার প্রতি তার আস্থা তৈরি হবে না।
সন্তানের অবসাদ দূর করুন আপনি নিজেই
এসএস/