সাখাওয়াত উল্লাহ : ইতিহাসে বহু আগে থেকেই মিসওয়াকের কথা বলা আছে। মুসলিম সভ্যতা অনেক আগেই দাঁত পরিষ্কার করার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছিল, যার কারণে তারা দাঁত মাজার জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করত।
হাদিসে বলা আছে, ‘মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম, আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়। (বুখারি, নাসাঈ, মিশকাত)
অন্য এক হাদিসে বলা আছে, নবী মুহাম্মদ সা. বলেছেন, ‘এমনটি কখনো হয়নি, জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছেন আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেননি। এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছিল, মিসওয়াকের কারণে আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি।‘ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)
মিসওয়াকের বেশকিছু ফজিলত রয়েছে। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মুহাম্মদ সা. বলেছেন, মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুণ বেশি ফজিলত রয়েছে। (বায়হাকি)
এছাড়াও মিসওয়াক ব্যবহার করলে দারিদ্র্যতা দূর হয়ে সচ্ছলতা আসে এবং উপার্জন বাড়ে। এই মিসওয়াকের কারণে পাকস্থলী ঠিক থাকে ও শরীর শক্তিশালী হয় এবং স্মরণশক্তি ও জ্ঞান বাড়ে, অন্তর পবিত্র হয়, সৌন্দর্য বাড়ে।
মিসওয়াক করার জন্য বেশকিছু উত্তম সময়ও রয়েছে। এমন ১০টি উত্তম সময় তুলে ধরা হল–
১. ঘুম থেকে উঠার পর।
২. অজু করার সময়।
৩. নামাজ আদায় করার পূর্বে।
৪. পবিত্র কুরআন পাঠ করার আগে।
৫. মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে।
৬. ঘরে প্রবেশের পরে।
৭. ক্ষুধার্ত থাকলে।
৮. দাঁত হলুদ হয়ে গেলে।
৯. মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে।
১০. মৃত্যুর পূর্বে (যদি কেউ আগে থেকেই আভাস পায়)।
সূত্র: মুসলিম ভিলেজ