ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে দ্রুত এবং নির্বিঘ্নে নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনের ওপর আবারও জোর দিয়েছেন।
গতকাল রোববার ঢাকায় মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত লোইন উ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রত্যাবাসন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের উপায় খুঁজতে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সম্পৃক্ত করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের গ্রামগুলো ও ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত লোইন মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করা আট হাজার ৩২ জন মিয়ানমার নাগরিকের তালিকা নিয়ে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত রাখাইন রাজ্যে হাসপাতালের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স দান এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ৫০ লাখ ডলার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো সংহত করতে তিনি কাজ করবেন।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন। সুত্র: এনটিভি অনলাইন।
এসএস/