রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

হিন্দুদের সম্মানার্থে সাতক্ষীরার রেস্তোরাঁয় ‘গো-মাংস’ নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় গেলে দেখা যাবে ‘নো বিফ’ সম্বলিত নোটিশ বোর্ড। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যেখানে গো-মাংস খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় প্রথম পছন্দ। সেখানে রেস্তোরাঁগুলিতে ‘নো বিফ’ সম্বলিত নোটিশ বোর্ড একটু আশ্চর্যজনকই বটে। খবর টিডিএন-এর।

সোনারগাঁ রেস্তোরাঁর মালিক আবুল কাশেমের কথায়, সাতক্ষীরায় বহুসংখ্যক হিন্দু পরিবার বসবাস করেন এবং তাঁর রেস্তোরাঁতেও অনেক হিন্দু প্রত্যহ খেতে আসেন। তারা গো-মাংস খাননা। জানা গিয়েছে, সাতক্ষীরা ছাড়াও বাংলাদেশের বহু জায়গার রেস্তোরাঁয় গো-মাংস পাওয়া যায়না।

প্রবীণ সাংবাদিক এটিএন বাংলা নেটওয়ার্ক-এর নিউজ এডিটর মানষ ঘোষ বলেন, ‘গো-মাংসকে এখানকার সংস্কৃতির নজরে দেখা উচিত হবে না। দেশভাগের আগে এখানে প্রচুর পরিমাণে হিন্দুরা বসবাস করতেন। আজও প্রায় ৮-৯% হিন্দুরা এখানে বাস করছে। এইজন্যই দেশের বিভিন্ন এলাকায় গো-মাংস খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

মানষ বাবু আরও বলেন, বিষয়টি সংস্কৃতির পাশাপাশি ব্যবসা ও রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। এই হোটেলগুলিতে আগত বহু গ্রাহক হিন্দু। তাই হোটেল মালিকগুলি তাদের মন জয় করতে গো-মাংস না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে যে দল ক্ষমতায় আসে সংখ্যালঘুদের সন্তুষ্ট করার জন্য বিফের রাজনীতি করেন। তবে, সেই রাজনীতি ভারতের মতো এতটাও গুরুত্ববহ না।

সাতক্ষীরা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অপর একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা থেকে বিফের জন্য গরু পাচার করা হয়। ভারতে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বাড়ার পরও তা চলছে রমরমিয়ে। কিন্তু যে সমস্ত রেস্তোরাঁগুলিতে বিফ নিষিদ্ধ সেখানে মাটন, চিকেন, ফিশ কারী গো-মাংসের চেয়েও বেশি বিক্রি হয়।

সূত্র : টিডিএন বাংলা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ