সিলেটে জমিয়তের বৃহৎ কর্মী সম্মেলন হয়ে গেল গতকাল। ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে নানা বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা। উঠেছে সরকারি দলের সঙ্গে আতাতের প্রশ্নও। এ বিষয়ে আজ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী।
স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
রাজপথে আছি, রাজবন্দী তো ইউসুফ আ. এবং জমিয়তের পুরোধা আল্লামা হুসাইন আহমদ মদনী রহ. এর সুন্নততুল্য।
গতকালকের সমাবেশে আমাকে প্রশাসনের উপর মহলের নির্দেশের একমাত্র শর্তের কথা বলে ২ ঘন্টার জন্য সরিয়ে দেয়া হয়। এই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা আসেন এবং বক্তব্যও রাখেন। আঁতাত হলে তো আমাকে নিয়ে তাদের এতো আতঙ্ক থাকার কথা ছিলো না।
এ বিষয়ে ফেবু পাড়ায় রীতিমত হুলস্থূল।
সিলেটের ইতিহাসে জমিয়তের সফল প্রোগ্রাম দেখে একশ্রেণীর ভাইয়েরা মায়াকান্না দেখাচ্ছেন। তাদের ভাষ্য আমরা নৌকায় উঠে যাচ্ছি। যারা বলছেন নৌকায় উঠে যাচ্ছি, তারাই আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে চলছেন সবাই জানে।
আমাদের আঁতাত হলে পার্মিশন দেয়ার পরেও পেন্ডাল তৈরিতে ৩ দিনে ৫ বার প্রশাসন এসে বাধার সৃষ্টি করতো না। অথচ প্রশাসনকে ভুল ইনফরমেশন দিয়ে আঁতাতের মাধ্যমে আমাদের প্রগ্রাম ভন্ডুলে শেষ চেষ্টা করেছেন। এমনকি চ্যালেঞ্জ ও ছুড়ে দিয়েছিলেন।
ব্যর্থ হয়ে যখন দেখলেন, আটকাতেও পারলাম না, স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশও হয়ে গেলো। তখন আমাদের মুরব্বীদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য বাজারজাত করছেন।
২য় কথা হলো- এখানে অন্য দলের নেতৃবৃন্দকেও দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। এমনকি সিসিক মেয়র আরিফ সাহেবও আশার কথা ছিল। আসলে তিনিও বক্তব্য দিতেন।
৩য় কথা জমিয়ত প্রেমিক ভাইদের উদ্দেশ্যে-
জমিয়ত মহাসচিব জমিয়তের নবজাগরণের সেনাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসিমী সাহেব গতরাতে আমার মাদরাসায় রাত্রিযাপন করেন, ফেবুপাড়ার এ বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘নেতা কর্মীদের এ আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আমার উপর আছে, আমি জীবিত থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগের জোটে যাবার প্রশ্নই আসে না।’
মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীর ফেসবুক ওয়াল থেকে
সিসিকসহ সিলেটের ১৯ আসনে যাদের প্রার্থী ঘোষণা করলো জমিয়ত