আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের বিদ্বেষমূলক প্রচারণাই চলমান সংকটের মূল কারণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনে ১৫৯টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটির ২০১৭-১৮ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মিয়ানমার সম্পর্কে এই পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হয়।
নিজেদের অনুসন্ধানের বরাত অ্যামনেস্টি বলছে, বিশ্বনেতাদের ছড়িয়ে দেওয়া ঘৃণা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ সিরিয়া ও মিয়ানমারে সংখ্যালঘু নির্যাতন উস্কে দিয়েছে।
এ ছাড়া মিয়ানমারের পাশাপাশি ইরাক, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনেও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হয়েছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ না হওয়ায় বিশ্বনেতাদের দায়ী করে অ্যামনেস্টির মহাসচিব সলিল শেঠী বলেন, ঘৃণা ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের বলিরপাঁঠা বানিয়ে জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুই কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য শিগগিরই মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের তালিকা প্রকাশ করবেন ইইউর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের শুরু পর ৬ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এ ছাড়া প্রায় ৬৫০০ রোহিঙ্গা শূন্যরেখায় আটকে আছে। সেনা অভিযানে অন্তত ছয় হাজার ৭০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসএস/