আওয়ার ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের আগে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনের সমালোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের গঠনতন্ত্রে বড় ধরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে তাদের এত ভয় কেন? উনি নির্বাচন করতে পারবেন কি পারবেন না। নির্বাচন না করতে পারলে আপনার সুবিধা হয়, আমরা সেটা ভালো করেই বুঝি।
বিএনপির গঠনতন্ত্র কি হবে আর হবে না তা তো ওনাদের বিষয় না। নিয়ম মেনেই গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন হয়েছে। এখানে দোষের কিছু নেই সমালোচনারও কিছু দেখি না।’
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই ধারাটা দলের জাতীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে বাতিল করা হয়েছে। এটা নতুন কিছু না। এটা নিয়ে যারা এখন কথা বলছে তারা ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের জাতীয় কাউন্সিলে এই ধারাটি বাতিল করা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, বিচার করছে, রায় দিচ্ছে, ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তাই আমরা আগে থেকে সর্তকতা অবলন্বন করেছি। এটা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। এখন যারা এসব করছেন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। সরকারের সব ধরণের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই আমরা দেশনেত্রীকে মুক্তি করবো।
তবে কাউন্সিলের পরও বিএনপির গঠনতন্ত্রে পরির্বতন ও পরিমার্জন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে। গঠনতন্ত্রের ১২ (খ) ধারায় বলা আছে, জরুরী কারণে যদি কোন সংশোধনী প্রয়োজন হয়ে পড়ে, দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রে সে সংশোধন করতে পারবেন, তবে জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় ‘ক’তে বর্ণিত সংখ্যাগরিষ্টতায় উক্ত সংশোধনী গৃহীত হতে হবে ।