আওয়ার ইসলাম: আগামী বছরের জোড় ও ইজতেমার তারিখ নিয়ে ফের সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কাকরাইল মারকাজ মসজিদ থেকে ৬ মুরব্বির স্বাক্ষরিত যে চিঠি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল তার পাল্টা চিঠি দিয়েছে অপর পক্ষ।
কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে পূর্বের অভিযোগের জবাবও দেয়া হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের মুরব্বি ও শুরার সদস্য মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা মুহাম্মদ হোসেন, মাওলানা ফারুক, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা মুজাম্মিলুল হক, মাওলানা ওমর ফারুক ও মাওলানা মোশাররফ হোসাইন স্বাক্ষরি এক চিঠিতে আগামী জোড় ও ইজতেমার তারিখ জানানো হয়।
সাথে সাথে নাম প্রকাশ না করে একজন শুরু সদস্যের প্রতি কিছু অভিযোগ তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ইজতেমা ভণ্ডুল করাসহ মাওলানা সাদকে ভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের আনার অভিযোগও করেন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমকে চিঠি দেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। চিঠিতে কাকরাইলের চিঠিতে করা ৭ টি অভিযোগের জবাব তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে নিজামুদ্দীনের হজরতগণের ফায়সালাকৃত উমুরগুলো অমান্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতে চলমান সঙ্কট সমাধানের অনেক চেষ্টা করা হলেও শুরার দুই পক্ষের মনোমালিন্য কোনোভাবেই কমছে না। দিন দিন সেটি আরও বিশালাকার ধারণ করছে। অথচ সারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের তাবলিগি সাথীদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা যেন দ্রুত দুই পক্ষই দ্বন্দ্ব ভুলে মিলে যান।
নিচে চিঠির পিডিএফ লিংক দেয়া হলো
সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের পক্ষ থেকে পাল্টা চিঠি