শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শহিদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার প্রথম প্রহরে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এসময় নেপথ্যে বাজছিল অমর একুশের কালজয়ী গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...।’

এরপর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদের বিরোধীদল, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধানরা এবং পুলিশ প্রধান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষ হলে শহিদ মিনার সবার জন্য খুলে দেয়া হয়।

ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই কয়েক হাজার মানুষ হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে যান শহিদ মিনার অভিমুখী লাইনে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও শহিদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের অপেক্ষায় দাঁড়ান।

শ্রদ্ধানুষ্ঠান ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা করা হয়।

ভাষা শহিদদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল ভাষার অধিকার। সেসব শহিদ স্মরণে এদিন প্রথম প্রহরে জেগে উঠেছে সব শহিদ মিনার। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- এই প্রত্যয়ের প্রতিধ্বনিতে রফিক, জব্বার, শফিউরদের স্মরণ করছে পুরো জাতি।

গর্ব আর শোকের দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করবে জাতি। যার সূচনা হলো শহিদ মিনারে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে। আরটিভি।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ