আওয়ার ইসলাম
যুক্তরাজ্যে আট বছরের কম বয়সী মেয়েদের হিজাব নিষিদ্ধ করা একটি স্কুলের ব্যবস্থাপনাকে ‘অসাধারণ’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটির শিক্ষা কর্যক্রম বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘অফিস ফর স্ট্যান্ডার্ডস ইন এডুকেশন, চিলড্রেন সার্ভিস অ্যান্ড স্কিল’ (অফস্টেড)।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, প্রধান শিক্ষক নিনা লালসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে স্কুলটি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের সেন্ট স্টিফেন স্কুল আট বছরের কম বয়সী মেয়েদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে। এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে স্কুলটির বিরুদ্ধে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তুলনা করা হয় জার্মান স্বৈরশাসক হিটলারের সঙ্গে।
এরপর স্কুলটি পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয় যা মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে অফস্টেড দাবি করে, ‘স্কুলের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক অনেক হয়রানির শিকার হয়েছেন। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে, স্কুলের বাহিরের মানুষ এসব হয়রানির সঙ্গে জড়িত ছিল।’
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তারাও এসব ‘কথা’ শুনতে চান না। তারা চান কোনোরকম সমস্যা ছাড়া আবার স্কুলের কার্যক্রম শুরু হোক।
স্কুলটির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্থানি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আগেই ব্রিটিশ সরকারের কাছে হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী ড্যামিয়েন হিন্দস ও স্কুল ব্যবস্থাপনামন্ত্রী লর্ড থিওডরসহ অনেক নীতিনির্ধারকরা শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়ান।
তবে অফস্টেডের প্রধান পরিদর্শক আমান্ডা স্পিলম্যান প্রধানশিক্ষক লালের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ যেটা যৌক্তিক মনে করবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান