ইমদাদ ফয়েজী: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাযিল (স্নাতক) পরীক্ষার পেপার দেখা হচ্ছে বাসে। এহসান আহমেদ সুজন নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে ফটো, ভিডিওসহ বিষয়টি প্রকাশ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তার টাইমলাইনে লিখিত বক্তব্যটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
শুরুতেই এরকম একটি পোস্টের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আজ দুপুরে টেনিক্যাল থেকে ঠিকানা বাসে উঠি। সিট পাইনি, পেছনের দিকে যেতেই একটা জিনিস নজরে পড়ে, একজন শিক্ষক বাসে বসে কোন এক বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখছে আবার মাঝে মাঝে পাশের জনের সাথে কথাও বলছে।
কি যে দেখছে? তা আর বলার দরকার পড়ে না। আচ্ছা, প্রতি খাতা দেখা বাবৎ একজন শিক্ষক তো কিছু টাকা পান। দেখেছে, ঠিক দিতেছে, মার্কও দিতেছে, যোগও করতেছে।
জিজ্ঞেস করলাম কিসের খাতা? বলল, ফাযিল (ডিগ্রি) এর পরীক্ষার খাতা। খাতার উপরেও লেখা ছিল ইসলামি আরবি বিশববিদ্যালয়।
বললাম, এইভাবে দেখেছেন যে? জ্ঞান দিল, সব নকল করে লিখছে, দেখে দেখে লিখছে, গাইড বই দেখে দেখে লিখছে।
বললাম, আপনি জানেন কিভাবে দেখে দেখে লিখছে?
উল্লেখ্য, খাতার উপরের অংশ ছেঁড়া ছিল যা থেকে বুঝা যায়, কোন জায়গার খাতা এটা তার জানার উপায় নাই।
বলল, জানি জানি, সব নকল করে লিখছে।
বললাম, ভাই, নকল ধরার কাজ তো আপনার না, নকল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষক ধরবেন, আপনার কাজ তো খাতা দেখা। এইভাবে খাতা দেখছেন যে?
তারপর আমাকে মার্ক এর হিসাব দিল, দেখেন মার্ক কি কম দিতেছি নাকি?
আজব! খাতা না পড়ে না দেখে মার্ক দিচ্ছেন, কম বেশি দেয়ার প্রশ্ন না তো। যে ছেলে বা মেয়েটি কষ্ট করে দিন রাত পড়ে হয়ত খুব একটা রেজাল্ট পাবার আশায় পরীক্ষা দিয়েছে, তার ফলাফল এইটা।
https://www.facebook.com/1109435289078414/videos/1712222218799715/?t=0