শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও অটল রয়ে গেছে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি: ডিসি ওয়ারী খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু মসজিদে শোরগোল নিয়ে রাসূল সা. যেভাবে সতর্ক করেছিলেন

ইসলামি পোশাকের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে ফ্যাশন ডিজাইনাররা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাখাওয়াত উল্লাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহু আলোচিত ‘লন্ডন মোডেস্ট ফ্যাশন উইক’।

বিশ্বখ্যাত এই ইভেন্টে বিশ্বের সব নামি দামি ফ্যাশন ডিজাইনাররা তাদের ডিজাইন করা ‘মোডেস্ট’ জামাকাপড় সবার কাছে তুলে ধরে। এই ইভেন্টে হিজাব, আবায়া এবং আরও বেশকিছু অভিজাত পোশাকের নতুন ডিজাইন উন্মোচন করা হয়।

এ দুই দিন ব্যাপী ইভেন্টে অংশ নেয় শতাধিক ফ্যাশন ডিজাইনার। লন্ডনের ভিক্টোরিয়া হাউজে ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছিল নারীদের জন্য বিশেষ কেনাকাটার সুবিধা, র‌্যাম্পওয়াক, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ।

আগের বারের চেয়ে এবার এ ফ্যাশন উইকে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মত। দর্শক সমাগমে মুখরিত অনুষ্ঠানে ২০০ পাউন্ড (২৩ হাজার টাকা) হলেও অনেকেই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত মডেল লিন্ডসে লোহান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এক মডেল জানান, এবার মুসলিম নারীদের মধ্যে সুশীল বস্ত্রের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। বর্তমানে এই সুশীল কাপড়ের চাহিদা বেশি হওয়া সত্ত্বেও তেমন কোন নামি দামি ব্র্যান্ড কাপড়গুলো প্রস্তুত করছে না।

তবে আমাদের দেখতে হবে, এ চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে এবং এজন্য ইন্ডাস্ট্রিতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সুশীল বস্ত্রে নারীরা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে থাকে, এবং তা ভবিষ্যতে বাড়বে।

মডেল লিন্ডসে লোহানকে দেখা গিয়েছিল একটি হিজাব পরিধান করা অবস্থায়। তাকে এ ফ্যাশন উইক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, ‘আসলে কি, ফ্যাশনে যে সবসময় ছোট কাপড়ে থাকতে হবে তা নয়। তার বদলে এটি রোমাঞ্চকরও হতে পারে।’

এর আগে যুক্তরাজ্যে মাত্র একবার এই ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এবারের ফ্যাশন ডিজাইনার এবং মডেলদের সাথে কথা বললে বোঝা যায়, এসব সুশীল পোশাকের চাহিদা কতটাই বেশি।

অনেকেই মনে করেন, শিগগির বিশ্বের সব নামি দামি দোকানে ইসলামি পোশাকের জন্য আলাদা একটি সেকশন রাখা হবে।

তাছাড়াও বিখ্যাত পোশাক নির্মাতারা এই বস্ত্র প্রস্তুত করাতে মনোযোগ দেবে বলে ধারণা করছেন এসব মডেল এবং ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

সূত্র: ডেইলি মেইল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ