শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হবিগঞ্জ ও ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জ গুলি; আহত শতাধিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধাবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির মিছিলে গুলি ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। উভয় ঘটনায় প্রায় ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দুই জেলায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আমাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হবিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছসহ ২০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অন্তত ৫০ জন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, সদর থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অলিউর রহমান, ছাত্রদল নেতা জিবলু আহমেদ, আবুল বাশার ইছা, আব্দুল হান্নান, বাদশা সিদ্দিকী, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি ইলিয়াছ আলী মাসুক।
ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি একটি বিক্ষোভ মিছিল তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ মারমুখী হয়ে উঠলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বাধে।

পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়লে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছসহ অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন ৫০ জন। তবে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে আহত নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছ দাবি করে বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে ডিবি পুলিশের ওসি শাহ আলম তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি ছোড়ে। এতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন নবী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা হট্টগোল সৃষ্টি করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ফরিদপুর শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় মিছিলে গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আটক করা হয় ২০ জনকে।

আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলি ঈসা, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, বিএনপির কোতোয়ালি শাখার সভাপতি রাউফুননবী ও নয়াদিগন্ত’র সাংবাদিক হারুন আনসারীর অবস্থা গুরুতর।
হবিগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা

এছাড়া কালের কণ্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন।

হামলার পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি ও লাঠিচার্জ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

কোতোয়ালি থানার ওসি নাজিমউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির মিছিল থেকে হামলা হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগানের গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ