আওয়ার ইসলাম : দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে পাঁচ বছরের সাজার পর কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার আইনজীবীরা। আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছেন খালেদার আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনের কনফারেন্স রুমে আইনজীবীরা বৈঠকে বসেছেন বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। তিনি বলেন, আপিল করার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। এজন্য সকালে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বৈঠকে বসেছেন। কখন আপিল করা হবে বৈঠকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
সকালে খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, আজ আপিল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। পারলে দুপুরের পর আবেদন জমা দেয়া হবে।
আজ আপিল আবেদন করতে পারলে আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে মনে করছেন খালেদার আইনজীবীরা।
এদিকে খালেদা জিয়ার আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছিল খালেদার আইনজীবীরা। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর বাসায় বৈঠকটি হয়। তবে সেই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা জানা যায়নি।
এদিকে , দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও আপিলসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক করছেন তাঁর আইনজীবীরা। অপরদিকে রায়ের আপিল মোকাবেলায় দুর্নীতি দমন কমিশনও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে।
আপিল মোকাবেলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আমরা তা পড়ে দেখেছি। রায়ের বিরুদ্ধে যদি আপিল করা হয় তাহলে তা মোকাবেলার জন্য দুদক প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়।
রায়ের দিন খালেদার আইনজীবীরা ১১ ফেব্রুয়ারি আপিলের কথা জানালেও রায়ের অনুলিপি না পাওয়ায় আপিল করতে পারেননি। এরপর থেকে প্রতিদিনই রায়ের কপি পাওয়ার আশার কথা জানালেও পাননি আইনজীবীরা।
খালেদা যেন জামিন আবেদন করতে না পারেন, সে জন্যই রায়ের কপি দিতে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবশেষ গতকাল বিকালে রায়ের অনুলিপি পান খালেদার আইনজীবীরা।