আওয়ার ইসলাম
ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। লুটপাটের মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আজ অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অর্থনীতির রক্তক্ষরণের কারণে জাতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পানামা পেপার, প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে অর্থনীতিকে দুর্বল করা হচ্ছে।
‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন রক্তক্ষরণ কন্টিনিউ করবেন? আজ, এখনই পদত্যাগ করুন। মানুষকে বাঁচান, জাতিকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার কি? আপনি আজ এখনই অবসরে চলে যান। গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচান আমাদের সবাইকে বাঁচান।’
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করেন সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু ও কাজী ফিরোজ রশিদ।
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, পানামা পেপার, প্যারাডাইস প্যাপারে তো কোনো রাজনীতিবিদের নাম আসেনি। ভয় কীসের? আজ এখানে যারা ট্রেজারি বেঞ্চে (সরকারি দলের সদস্য) আছেন, আমরা বিরোধীদলে আছি। সুশীল সমাজের অনেকে অনেক কথা বলেন। আজ তো আমাদের নামে কোনো অ্যাকাউন্ট বের করতে পারেনি, তাদের নামেই বেরিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা টাকা পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। প্যারাডাইস পেপার ও পানামা পেপারে যাদের নাম এসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, জাতি আপনাকে সাধুবাদ জানাবে।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন অর্থনীতির যে অবস্থা, সরকারি ব্যাংকের যে অবস্থা, এর জন্য নাকি সরকার দায়ী? সারকার দায়ী মানে কি সরকারপ্রধান দায়ী? সরকার প্রধানতো আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রণালয়ে। সেই দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আপনি সেই দায়িত্ব নিয়ে ডিসেম্বরে অবসরে না নিয়ে আজ, এখনই অবসরে চলে যান। অবসরে গিয়ে দেশ-জাতিকে মুক্তি দেন।
তিনি বলেন, অর্থ পাচারের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেলো। পানামা পেপারে অনেকের নাম আসলো। কোনো ব্যবস্থা সরকার বা অর্থমন্ত্রী নিলেন