আওয়ার ইসলাম: হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সম্প্রতি নতুনভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই আইনের আওতায় “কেউ যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো ধরনের প্রোপাগান্ডা চালায় তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে”।
একুশে বইমেলার যে কোনো বই কিনতে ক্লিক করুন
ইসলামের বিধান মতে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া, দোষচর্চা করা এবং তার চরিত্র হনন করা মারাত্মক গুনাহের কাজ। শরীয়াহ’র স্পিরিট অনুযায়ী এটা নিষিদ্ধ। সরকার এ জাতীয় কাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করায় আশা করা যায় সমাজ ও জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী অপকর্ম করতে মানুষ নিরুৎসাহী হবে, যদি তার অপপ্রয়োগ না হয়।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, এ আইন পাশের বিষয়টি আমাদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা সংখ্যাগরিষ্ট গণমানুষের আবেগ ও চেতনার প্রতিফলনে মহানবীর সা. অবমাননার বিষয়টি এখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
আর তাই আমরা মনে করি এই আইনের পাশাপাশি কোটি কোটি মুসলমান অধ্যুষিত অতুলনীয় ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশে আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এর সম্মান রক্ষার জন্যও কঠোর আইন করা দরকার।
আল্লামা জুনায়েদ ববাুনগরী আরো বলেন, বাংলাদেশের হাজার হাজার আলেম, সর্বস্তরের তৌহিদ জনতা এবং ধর্মপ্রাণ সকল নাগরিকের পক্ষ থেকে আমাদের জোর দাবি হলো,
কেউ যদি ডিজিটাল (কিংবা প্রিন্ট মাধ্যম) মাধ্যম ব্যবহার করে টেক্সট বা চিত্র যে কোনভাবে মানবতার মুক্তির দিশারী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সাইয়্যাদানা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, অবমাননা ও মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালায় তার শাস্তির জন্য মৃত্যদণ্ডের বিধান রাখা হোক।
আজ হাটহাজারী থানা অন্তর্গত আল জামিয়াতুল হামীদিয়্যা নাসিরুল উলুম ফতেপুর মাদরাসার ১০২ তম বার্ষিক মাহলে এসব কথা বলেন তিনি।
যাত্রাবাড়ীতে ‘কওমী মাদরাসা পরিষদ’ গঠন