রোকন রাইয়ান: প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে হাজারও চোখের রোগী রয়েছে যারা অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারেন না। তাদের দ্বারে দ্বারে ফ্রি চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দৌড়াচ্ছেন একজন ডক্টর ও আলেম। তিনি ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক।
গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ছুটে যান দেশের প্রশ্চিম প্রান্ত ঠাকুরগাঁয়ে। সেখানে চোখের রোগে আক্রান্ত অন্তত ৫ হাজার রোগীর সপ্তাহব্যাপী ফ্রি চক্ষুশিবির করা হয়েছে।
মূলত আন্তর্জাতিক সেবাসংস্থা আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। সংস্থাটির বাংলাদেশ মিডিয়া এন্ড ইনফরমেনশন ডেপলপম্যান্ট ইনচার্জ ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক।
একুশে বইমেলার সব বই দেখতে ও কিনতে ক্লিক করুন
আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রয়েছে আল-নূর চক্ষু হাসপাতালও। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ কাম কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে চক্ষুশিবির স্থাপন করা হয়েছে।
গরিব ও অসহায় রোগীদের সেবা দিতে সংস্থা পরিচালিত খ্যাতনামা চক্ষুসেবাকেন্দ্র আল-নূর চক্ষু হাসপাতাল, ঢাকা’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
জানা যায়, বিনামূল্যে সেবা নিতে-আসা রোগীদের মধ্য থেকে পাঁচশতাধিক রোগীর ছানি অপারেশন ও লেন্স স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ছানি ছাড়া অন্যান্য রোগীদের বিনামূল্যে ঔষধ, চশমা ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে বলে জানা যায়।
উদ্বোধনের দিন ছানি অপারেশনের জন্য বাছাইকৃত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অপারেশন ও লেন্স স্থাপনের পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও সংস্থা কর্তৃক করা হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সকাল ৮ টায় চক্ষুশিবির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ অঞ্চলের মহাপরিচালক ড. আহমাদ তাহির আল-মিম্বারি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহা. আবদুল আওয়াল।
চক্ষু শিবির পরিচালনায় রয়েছেন ডা. মুহাম্মদ আবু সাঈদ, মেডিক্যাল ডিরেক্টর আল নূর চক্ষু হাসপাতাল, ঢাকা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এইচ. আর. মুহাম্মদ নুরুজ্জামান খোশনবিশ এবং ক্যাম্প ইনচার্জ মুহাম্মদ ওবায়দুজ্জামান।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং সংস্থাটির বিভিন্ন প্রকল্প থেকে সেবাগ্রহণকারীদের সংখ্যা ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক একজন প্রথিতযশা আলেম। তিনি বেশ কয়েকটি মাদরাসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলোজির খণ্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
লেখালেখি, গবেষণাসহ আরবি সাহিত্য ও বাংলা ভাষায় ভার্চুয়াল ইলমি জগতে তার বিচরণ সর্বজন বিদিত। বাংলাদেশে কাওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য লিবিয়ায় চলে যান। ফিরে আসেন একজন দাঈ হিসেবে।
আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন সৌদি আরব থেকে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন ড. আহমেদ তাহের আল মিম্বারি।
প্রতিষ্ঠানটি আলোয় ভরে তুলুক বাংলাদেশ। অসহায় চক্ষু রোগীদের ফ্রি সেবা দিয়ে আলোকিত করুক মানুষকে। সেই কামনা সবার।
‘আমার জীবনে ৬টি স্বপ্ন ছিল আলহামদুলিল্লাহ ৬টিই পূর্ণ হয়েছে’