আওয়ার ইসলাম: সকাল ৮টা। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের 'এনা' পরিবহনের কাউন্টারে টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ময়মনসিংহ যাবো। অনেক পেছন থেকে যখন প্রায় সামনে চলে এসেছি, তখন দেখি আমার দুই তিনজনের সামনের যুবক বলছিলেন- 'ভাই, আমাকে একটা ভালো সিট দেন। আমার বোন যাবে।'
আমি আমার টিকেটের জন্য ব্যস্ত হয়ে আছি। যাক একটা টিকেট পেলাম। মোটামুটি মাঝের দিকেই সিট। এমনিতেই বাস কম। তার মধ্যে ভালো একটা গাড়ির ভালো জায়গাতেই সিট পেয়েছি। ১৯ নম্বর গাড়ি এখনো স্ট্যান্ডে আসেনি। কাউন্টারের ওয়েটিং রুমে বসে আছি। আমার সামনেই বোনের জন্য টিকেট কাটা ছেলেটা বসে আছে। তার বোনকে আশপাশে দেখতে পেলাম না। খটকা লাগলো।
কিছুদিন আগে জনৈক লিখেছিলেন- 'এখনকার কিছু পোলাপাইন খুব ফাজিল। এরা বাসে কোথাও গেলে টিকেট কাটে বোনের নামে, আন্টির নামে, খালার নামে। বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে বাসে উঠে মেয়ের পাশে বসে সুন্দর করে চলে যায়।'
কিছুক্ষণ লক্ষ্য করার পরে মনে হলো, ছেলেটার কোনো বোন নাই মনে হয়। মেয়ের পাশে বসে যাওয়ার ধান্দায় সিস্টেমে টিকেট কাটছে। তো আমার বাস চলে আসার পরে উঠে পড়লাম। বাস চলতে শুরু করলো...ঘুম ঘুম ভাব চলে আসছিল। হঠাৎ চিল্লাচিল্লির শব্দে চোখ মেলে দেখি সেই 'বোনের' জন্য টিকেট কাটা ছেলেটা।
সামনের দিকের সিটে দাঁড়িয়ে চিল্লাচিল্লি করতেছে। সুপারভাইজারকে পলিথিন দিতে বলতেছে। ছেলেটা আবার একটু জোরে গলায় বলতেছে 'এই বয়সে আপনে একা একা চলেন কেন?'
ঘটনা কি দেখার জন্য দাঁড়িয়ে দেখি ছেলেটার গায়ে বমির ছিটেফোঁটা, আর তার সহযাত্রী এক বৃদ্ধা নারী বমি করতেছে...।
মাহতাব হোসেনের ফেসবুক থেকে নেয়া।
এইচজে