আওয়ার ইসলাম
বই পড়ে পুরস্কার পেয়েছে রাজশাহীর ১ হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তাদের পুরস্কৃত করে।
রাজশাহী মহানগরের আওতায় পরিচালিত স্কুল পর্যায়ের বইপড়া কার্যক্রমের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক, লেখক ও অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, রাজশাহী জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. রীনা রানী দাস, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক অলক মৈত্র, এভারেস্ট জয়ী এম.এ মুহিত, নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তাইফুর রহমান, গ্রামীণফোনের রাজশাহী সার্কেলের হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ সোহেল মাহমুদ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উপদেষ্টা অঞ্জন কুমার দে।
পুরস্কার নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা-ছবি-বাংলানিউজঅনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রম আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে নিজেকে বিকশিত করার এক মহাসুযোগ।
ভাষার উপর ভিত্তি করে আমাদের দেশ ও জাতির জন্ম হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের মনে গভীরভাবে মিশে রয়েছে। একে উন্নত করার জন্য আমাদের প্রচুর বই পড়তে হবে। বই যত বেশি পড়বে তত বেশি জানবে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের রাজশাহী সার্কেলের হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ সোহেল মাহমুদ বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সঙ্গে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গ্রামীণফোন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে চায়।
বই আমাদের চিন্তা শক্তিকে বৃদ্ধি করে। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগেও এর অবদান কোনো অংশে কম নয়। তাই সবার জন্য দারুণ সব বইয়ের একটি ই-লাইব্রেরি তৈরি করেছে গ্রামীণফোন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।