শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ইসলাম নিয়ে পিউ রিসার্চের গবেষণার অজানা ৫ তথ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাখাওয়াত উল্লাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউরোপে মুসলিমদের জনসংখ্যা খুবই কম। পুরো জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ মুসলিম। তবে এই মহাদেশের কয়েকটা দেশে মুসলিমদের জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি। এই সংখ্যাটি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।

পিউ রিসার্চের একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ইউরোপে ২০৫০ সালের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বাড়বে। এই জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এই ইউরোপীয় দেশগুলোতে রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন দেখা যাবে।

পিউ রিসার্চের সেই গবেষণা থেকে এই ৫ টি অজানা তথ্য উঠে আসে

১. ইউরোপে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৬ সালের জরিপে দেখা জায়, ফ্রান্সে প্রায় ৫৭ লাখ মুসলিম রয়েছে, যা তাদের পুরো জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ।

অন্যদিকে জার্মানিতে প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিম বাস করে, যা পুরো জার্মানির জনসংখ্যার ৬.১ শতাংশ। সাইপ্রাসে রয়েছে প্রায় ৩ লাখ মুসলিম, যা তাদের পুরো জনসংখ্যার ২৫.৪ শতাংশ।

২. ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই বৃদ্ধি চলমান থাকবে– ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ইউরোপে মুসলিমদের জনসংখ্যা ১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পায়, যার অর্থ ইউরোপে এই ৬ বছরের মধ্যেই মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৫৩ লাখ বেড়ে যায়।

ইসলামি কিতাব, বয়ান ও মালফূযাতের অন্যন্য অ্যাপ

২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। তবে ইউরোপে অভিবাসীদের প্রবেশের ওপর নির্ভর করে, মুসলিমদের সংখ্যা কতটা বৃদ্ধি পাবে।

কোন প্রকার অভিবাসী প্রবেশ না করলেও মুসলিমদের জনসংখ্যা প্রায় ৩.৪ শতাংশ বাড়বে, এবং যদি উচ্চ অভিবাসী নীতি চালু হয় তাহলে এটি বেড়ে প্রায় ১১.২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।

৩. ইউরোপে মুসলিমদের বয়স অন্যদের চেয়ে অনেক কম– ইউরোপে মুসলিমদের মধ্যমা বয়স হচ্ছে ৩০.৪ বছর, যেখানে অন্যান্যদের মধ্যমা বয়স হচ্ছে প্রায় ৪৩.৮ বছর।

অন্যদিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাব, ৫০ শতাংশ মুসলিমের বয়সই ৩০ বছরের নিচে, যেখানে ইউরোপের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ৩২ শতাংশের বয়স হচ্ছে ৩০ বছর বা তার নিচে।

৪. ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অভিবাসীদের জন্যই ইউরোপে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃহৎ আকারে বৃদ্ধি পায়– ইউরোপে এই ছয় বছরের ব্যবধানে প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম অভিবাসী ঢুকে পরে।

ইফোর্ট: টি শার্টে আধুনিকতা ও শালীনতার সমন্বয়

এদের মধ্যে ২.৫ লাখ মানুষ ইউরোপ ছেড়ে গেলেও প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষই অভিবাসী হিসেবে থাকার জন্যে আবেদন করেছে।

৫. মুসলিমদের ব্যাপারে অনেকের অনেক ধারণা রয়েছে – ২০১৬ সালে প্রায় ১০ টি দেশে গবেষণা চালায় পিউ রিসার্চ সেন্টার।

এই গবেষণায় দেখা যায়, জার্মানির ডানপন্থী দলের প্রায় ৪৭ শতাংশ সদস্য মুসলিমদের বিশ্বাসকে সমর্থন করে। অন্যদিকে বামপন্থী দলের মাত্র ১৭ শতাংশ সদস্য মুসলিমদের বিশ্বাসের সঙ্গে একমত। অন্যান্য সকল দেশেও অনুরূপ একটি ফলাফল লক্ষ্য করা যায়।

সূত্র: pewresearch.org/fact-tank/2017/11/29/5-facts-about-the-muslim-population-in-europe/

বাংলাদেশের ৭ কারি; যাদের কেরাত শেখায় অনন্য স্রষ্টাপ্রেম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ