মুহাম্মাদ শোয়াইব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আমেরিকান ডিও আটলান্টিক পত্রিকায় এক বিবৃতিতে লিখেছে, মরক্কোর নারী মুবাল্লেগ এবং কোরআন বিশেষজ্ঞগণ সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার মোকাবেলা এবং সমাজে ধর্মীয় সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
মরক্কোর কোরআন বিশেষজ্ঞ নারীরা দেশটিতে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার মোকাবিলা করছেন। মরক্কো সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত "ধর্মীয় মিশনারিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র" দীর্ঘ ১১ বছর যাবত সক্রিয় রয়েছে। এই কেন্দ্র মুল কাজ হচ্ছে কোরআন এবং ধর্মীয় বিজ্ঞানের আলোকে গবেষণা করা।
মরক্কো সন্ত্রাসীদের ব্যবহারে ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ, যদিও ২০১১ সাল থেকে কোন উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী হামলা সেখানে হয়নি।
এদিকে, মরক্কোর লোকরা আইএস সন্ত্রাসীদের সাথে যুক্ত হয়ে ইউরোপে হামলার চালাচ্ছে।
২০১৫ সালের প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র লোকটি একটি মরক্কোর অধিবাসী যার বিচার গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে। ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলার পিছনে যে লোকটি ছিল সেও ছিল মরক্কোর অধিবাসী।
মরক্কোর অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১২ সাল থেকে আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহ প্রায় ১৬০০ মরক্কো নাগরিক চরমপন্থি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে।
এখন, দেশটির শিক্ষা কেন্দ্রের কুরআন বিশেষজ্ঞ মহিলারা চরমপন্থার ঘটনাটির মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যুবকরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি আকৃষ্ট না হয় ।
ধর্মীয় মিশনারিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক আব্দুল সালাম আল আজর বলেন, এই সংস্থা থেকে শত শত মরক্কোর নারীরা স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন যারা সমাজে সর্বাধিক প্রভাব ফেলতে পারেন ।
এই কেন্দ্রের অপর কর্মকর্তাদের সাঈদ আজর বলেন: সমাজে নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। কারণ শিশু, যুবক এবং পুরুষদের সাথে অনেক যোগাযোগ রাখতে হয়। আর এজন্য এক্ষেত্রে তারা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
সূত্র: ইকনা