হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: বাবরি মসজিদ বিষয়ে মাওলানা সালমান নদভির প্রস্তাবিত ফরমুলার সমালোচনার ধারা অব্যাত রয়েছে।
ভারতের প্রসিদ্ধ আইনজীবি প্রফেসর ফয়জান মোস্তফা সালমান নদভির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ওলামায়ে কেরামকে বলা হয়েছে তারা হলেন নবীদের উত্তরাধীকারী।
হজরত মুহাম্মদ সা. এর ওপর নবুওয়াতি ধারা শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শরিয়তে মুহাম্মদীকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব। কিন্তু মাওলানা সালমান নদভি যে প্রস্তাব পেশ করেছেন এতে ওলামায়ে কেরামের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
তার এমন পদক্ষেপে ভারতের মুসলিম বুদ্ধিজীবি মহল যথেষ্ট বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি একজন চিন্তাশীল আলেম হয়ে এটা কীভাবে করত পারলেন?
মোস্তফা ফায়জান মাওলানা সালমান নদভির ওপর দেশের আইন ও আদালতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগ করে বলেছেন, আগামী এক দেড় মাসের মধ্যেই বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় আসতে পারে। ঠিক এই সময়ে সমোঝতার কথা বলা বা চেষ্টা করা আদালত অবমাননার শামিল। রায়ের আগে সমোঝতার কোন কথা হতে পারে না।
তিনি আইনের দিক থেকে বলেন, বাবরি মসজিদের বিষয়টি সে জায়গার মালিকানা সংক্রান্ত। আর জামির মালিকানার ফায়সালা তো আদালতই করবে।
এছাড়া তিনি হিন্দু গুরু শ্রী রবি শঙ্করেরও কড়া সমালোচনা করে বলেন, তিনি মুসলিম বা হিন্দু তাকে তো কোন ধর্মেরই মুখপাত্র বানানো হয়নি। বাবরি মসজিদ বিষয়ে মাওলানা সালমান নদভির সাথে তিনি কীভাবে সমোঝতার কথা বলেন?
উল্লেখ্য, মাওলানা সালমান নদভি কয়েক দিন আগে হিন্দু গুরু শ্রী রবি শঙ্করের সাথে সাক্ষাত করে বাবরি মসজিদ বিষয়ে সমোঝতার আলোচান করেন।
তিনি প্রস্তাব পেশ করেন, বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দুরা মসজিদ বানিয়ে নেবে। আর এর পরিবর্তে মুসলামানদেরকে ভিন্ন জায়গায় মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে হবে।
এর ফলে দেশে শান্তি ও একতা বজায় থাকবে বলে তিনি দাবি করেছেন। তার এ ধরনের মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তীব্র বিতর্ক ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
অপর দিকে মাওলানা সালমান নদভিকে তার এই প্রস্তাবনার কারণে গত রোববার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের নিবাহী কমিটির সদস্যম পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সূত্র: মিল্লাত টাইমস, রোজনামা খবরে।
বাবরি মসজিদ নিয়ে কোনো সমঝোতা হতে পারে না: ওয়াইসি