শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমার থেকে সাড়া পাইনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম 

নির্বিচারে গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সমস্যার মূল রয়েছে মিয়ানমারে, এর সমাধানও বের করতে হবে মিয়ানমারকেই। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও মিয়ানমার কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পায়নি। খবর বাসসের।

ভ্যাটিক্যান সিটির সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েট্রো প্যারোলিনের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভ্যাটিক্যান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

শামীম আহসান জানান, মায়ানমারের স্বদেশ ভূমি থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাটিক্যান সিটির সেক্রেটারি অব স্টেটকে জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তের ওপার থেকে সমস্যার সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এর সমাধানও রয়েছে সেখানে। তাই চুক্তি বাস্তবায়নও করতে হবে মায়ানমারকে। কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা এখনও মায়ানমারের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে তাদের স্বদেশ ভূমিতে ফিরে যেতে উৎসাহিত হয় মায়ানমারকে সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ দায়িত্ব মায়ানমার সরকারকে নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার পেশ করা ৫ দফা প্রস্তাবের কথা আবারও উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, মায়ানমার এখনও কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করেনি।

ভ্যাটিক্যান সিটির সেক্রেটারি অব স্টেট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর লড়াইয়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা কোন কারণেই উচিত নয়। তিনি অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে না দেয়ার তার সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির বিষয় খুবই সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কঠোর হাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করছি এবং দেশে জঙ্গিবাদের সকল আশ্রয়স্থল ভেঙ্গে দিয়েছি।

/এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ