কাউসার লাবীব: গতকাল রাজধানীর জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের ১০তম কাউন্সিল।
এতে লাগাতার তৃতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে পূণনির্বাচিত হন জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের প্রিন্সিপাল আল্লামা আশরাফ আলী।
আর জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব থেকে পূর্ণ মহাসচিব নির্বাচিত হন।
পাশাপাশি বেফাকের কমিটিতে এবার সহসভাপতি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুহিউসসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
নবনির্বাচিত বেফাকের এ সহসভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর সমাপনী বক্তব্যের পূর্বে কাউন্সিল সভায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য পেশ করেন।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমাদের ওলামায়ে কেরাম জাতির সেরতাজ। জাতির রাহবার। তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা আমাদের জন্য পথচলার পাথেয়।
ওলামায়ে বরাবরের মতোই সর্বক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাজ রাষ্ট্র ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
বেফাক একটি চিন্তাশীল এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন। কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা অগ্রগতির জন্য বেফাক উচ্চতর ইলমি ইদারা হিসাবে গড়ে উঠবে।
ছাত্র শিক্ষকদের আমিলি তরবিয়ত এবং ইলমি উন্নতির কথা উল্লেখ করে আল্লামা মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, হিকমত ওয়ালা ইলম জরুরি। ইলম যদি হিকমত ওয়ালা না হয় তাহলে এলহাদ হয়।
আমাদের উচিৎ ইখলাস ও সুন্নত অনুযায়ী কাজ করা। ইলমে নুর আসবে ইখলাসের মাধ্যমে আমলে নুর আসবে সুন্নতের মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বড়দের মেনে চলি, মেনে চলবো। সমর্থণ করবো। সেই সাথে বড়দের উচিৎ সবার আস্থা অর্জন করা। আস্থাশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জন্য সবসময় উচিৎ হলো আমাদের রাহবার ও মুরব্বি ওলামায়ে কেরাম যেভাবে আমাদের চলতে বলেন আমরা সেভাবে চলা। তাহলেই আমাদের চলার পথে কল্যাণ বয়ে আসবে।
১০তম কাউন্সিল সভায় বেফাকের সহসভাপতি হিসেবে আরো নির্বাচিত হয়েছেন,
আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ (জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ), আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (বারিধারা), মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (মনিরামপুর যশোর), আল্লামা মোস্তফা আযাদ (আরজাবাদ), প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট), মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ( মিরপুর), মাওলানা আবদুল বারী ধর্মপুরী (মৌলভীবাজার), মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (বাবুনগর, চট্টগ্রাম), মাওলানা নূরুল ইসলাম আযাদী (ওলামাবাজার ফেনী), মাওলানা আবদুর রহমান হাফেজ্জী (মোমেনশাহী), মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুর), মাওলানা নূরুল ইসলাম (খিলগাঁও), মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী (জামিয়া নূরিয়া কামরাঙ্গীরচর), মাওলানা সাজিদুর রহমান (দারুল আরকাম মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাওলানা সালাহুদ্দীন (নানুপুর, চট্টগ্রাম), মাওলানা ছফিউল্লাহ (জামিয়া দ্বীনিয়া, মতিঝিল), মুফতি জাফর আহমদ (ঢালকানগর মহিলা মাদরাসা ), মুফতি ফয়জুল্লাহ (জামিয়া কুরআনিয়া লালবাগ), মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু (সিলেট), মাওলানা আনাস মাদানী (হাটহাজারী) মাওলানা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, মাওলানা বদরুদ্দীন (সিলেট), মাওলানা আশেক এলাহী (জামিয়া ইউনুসিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ ( মাদানীনগর ঢাকা )।
আল্লামা আহমদ শফীর সভাপতিত্বে এ সভায়া বেফাকের মজলিসে আমেলা ও শুরার সদস্যসহ দেশের বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিমগণ উপস্থিত ছিলেন।
বেফাকের ১১৬ সদস্যের নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা