আবদুল্লাহ তামিম: ইন্দোনেশিয়ায় অনেক এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে ‘কুরআনিক স্কুল’। কুরআনের বিজ্ঞানভিত্তিক পাঠদানে অভিভাবক ঝুঁকছে এই স্কুলের দিকে।
এ স্কুলগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থার মূল আকর্ষণ হলো কুরআনের বিজ্ঞানভিত্তিক পাঠ্যক্রম।
কুরআন তেলাওয়াত, হেফজ ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি গণিত, ইংরেজি ও আরবি বিষয়ের কারিকুলামে বিন্যস্ত স্কুলের নাম হলো ‘কুরআনিক স্কুল’।
এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে স্কুলের সংখ্যা। সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ার জাভা, টানগ্রোং ও সুমাত্রা দ্বীপ অঞ্চলে চলছে এস্কুলগুলো।
ধর্মীয় ও একাডেমিক শিক্ষা প্রদানকারী স্কুল ‘কুরআনিক গ্রাম’ একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বপ্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার ১০টি অঞ্চলের মোট ৫ হাজার শিক্ষার্থী এ স্কুলে ধর্মীয় ও একাডেমিক শিক্ষা গ্রহণ করছে।
স্বেচ্ছাসেবী, দাতা ও শিক্ষার্থীদের ফি দ্বারা পরিচালিত ‘কুরআনিক স্কুল’-এর অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী হলো অনাথ, ইয়াতিম ও দরিদ্র। মিশর, ইয়েমেন ও সিরিয়ার অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা এ স্কুলগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, এ স্কুলগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে আবাসিক থাকা বাধ্যতামূলক না হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সে থাকতে হয়।
কুরআন ও একাডেমিক শিক্ষা সিলেবাসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পরিচালিত স্কুল ‘কোরআনিক গ্রাম’ ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুপ্রেরণা।
সূত্র: ইন্ডেয় ওয়ান থাউজেন্ট /এটি