শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

পাকিস্তানের মানবাধীকার কর্মী আসমা জাহাঙ্গিরের ইন্তেকাল, প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানের প্রখ্যাত আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গির মারা গেছেন। গতকাল রবিবার লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, আসমা জাহাঙ্গির হৃদরোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আসমা জাহাঙ্গিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরে নির্যাতিত বাঙালির পক্ষে যেসব পাকিস্তানি দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের অন্যতম ছিলেন আসমা জাহাঙ্গিরের বাবা মালিক গোলাম জিলানি।

১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তার মুক্তির দাবিতে জেনারেল ইয়াহিয়াকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন জিলানি। এ জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয়।

বাবার মতো আসমা জাহাঙ্গিরও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত বর্বরতার জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্রকে ক্ষমা চাওয়ানোর দাবিতে সোচ্চার ছিলেন আসমা জাহাঙ্গির।

আসমা জাহাঙ্গির ১৯৫২ সালে লাহোরে জন্ম গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। ২০১০ সালে তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানে এই পদে তিনিই ছিলেন প্রথম নারী। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশনেরও সহসভাপ্রধান ছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের মানবাধিকার, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু ও শিশুদের ধর্মীয় অধিকার নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান এবং উইমেনস অ্যাকশন ফোরাম প্রতিষ্ঠায় তিনি যৌথ অংশীদার ছিলেন।

স্বকৃতি স্বরুপ বিভিন্ন পুরস্কার। ২০১০ সালে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ ও সিতারা-ই-ইমতিয়াজসহ একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন। মানবাধিকার সংস্কৃতির উন্নয়নে ভূমিকার জন্য তিনি ইউনেসকো/বিলবাও পুরস্কার এবং ফরাসি সরকারের দে লা লিজিঅঁ ডি অনার পুরস্কার পান।

এ ছাড়া ২০১৪ সালে রাইট লাইভলিহুড অ্যাওয়ার্ড ও ২০১০ সালে ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পান।আসমা জাহাঙ্গিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মী।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ