মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আজ  সোমবার।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত হলে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মামলার বাদী ও ভাই, জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, চিকিৎসক, পাঁচ আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণকারী চারজন বিচারিক হাকিম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আখতার জানান, এই মামলায় বাদীসহ ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার প্রার্থনা করেছেন তিনি।

এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান বলেন, ‘মামলার সব আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষীরা যথাযথ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আমরা সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করছি’।

গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। ধর্ষণ শেষে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মরদেহ ফেলে রেখে যায় ঘাতকরা।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় নারী হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরের দিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে সনাক্ত করেন।

২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তারা প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে  আদালতে জবানবন্দি দেন। আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ