আবদুল্লাহ তামিম: রাজধানী ঢাকা মিরপুর ভাষানটেকে অবস্থিত জামিয়া মুহাম্মদীয়া ও এতিমখানায় রোববার রাতে পাশের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায় পুরো মাদরাসা।
জিনিসপত্র থেকে শুরু করে ছাত্রদের আসবাবপত্র কিছুই অবশিষ্ট নেই। প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার কিতাবও ছাঁই হয়ে গেছে।
মাদরাসার দায়িত্বশীলের বরাতে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে পাশের কাঠের দোকান থেকে সূত্রপাত হয় এই অগ্নিকাণ্ডের। মুহূর্তের মধ্যেই আশপাশের দোকান পুড়ে আগুন পৌঁছে যায় মাদরাসায়। ঘুমন্ত ছাত্রদের উস্তাদরা দ্রুত নিরাপদে সরাতে পারলেও রক্ষা করতে পারেনি কোনো আসবাব-পত্র। এমন কী কোনো কিতাবাদিও অবশিষ্ট নেই।
মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আবদুল লতীফ ফরুকীর কাছে এ বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহম ও করমে আমার শিক্ষক ও ছাত্ররা অক্ষত আছে। কিন্তু খুবুই দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আমার মাদরাসার কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। চেয়ার টেবিল আলমিরা ছাত্রদের বেডিং সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে মাদরাসার কুতুবখানায় যত কিতাব ছিলো সব পুড়ে গেছে। ছাত্রদের জন্য পাঠাগারেও প্রচুর বই কিতাব ছিলো কিছুই অবশিষ্ট নেই।
এই মুহূর্তে ছাত্রদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আশপাশের বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান করছে ছাত্র ও শিক্ষক। অনেকেই এগিয়ে এসেছে মাদরাসার সহযোগিতায়। বিদেশ থেকেও অনেকে ফোন করেছে। নগত অর্থ দিয়ে যাচ্ছে অনেকে। আমাদের সেনা প্রধানও বড় অঙ্কের একটা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন।
মাদরাসার এই বিপুল পরিমাণের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের জন্য ক্লাসের কিতাবগুলো ক্রয় করবো যাতে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি না হয়। আর থাকার জন্য মানুষ সিট বেডিং মশারি পাঠাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহই ব্যবস্থা করে দিবেন।
বেফাকের ১১৬ সদস্যের নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
মাদরাসা সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ১৯৮৯ সালে আমি এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে মেশকাত পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জন ছাত্র ও ২১ জন শিক্ষক রয়েছে।
তিনি আশা করেন, সবাই এগিয়ে এলে মাদরাসা আবারো আগের মত পড়াশোনার পরিবেশে ফিরে যেতে পারবে।
https://www.facebook.com/gazi.yakub/videos/1579327928850005/
আরআর