সাখাওয়াত উল্লাহ : একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটের দক্ষিণ আফ্রিকার সিনিয়র ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ৭ হাজার রান করার রেকর্ডের মালিক এই ৩৪ বছর বয়সী আমলা।
তার ব্যাটিং-এ তিনি এতটাই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন যে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা একজন ব্যাটসম্যানে পরিণত হয়েছেন। বর্তমানে টেস্ট র্যাং কিং এ তিনি সপ্তম স্থানে অবস্থান করছেন।
হাশিম আমলা তার আচরণের জন্যেও বেশ প্রশংসিত। তাকে সকলে ‘মিস্টার জেন্টেলম্যান’ নামে ডাকে।
একুশে বইমেলার সব বই পাবেন ঘরে বসে ক্লিক করুন
এই ‘মিস্টার জেন্টেলম্যান’ এর রয়েছে আরও বহু গুণ। তিনি কখনও নামাজ বাদ দেন না এবং সবসময় রোজা রাখেন। রমজানে তার দলের খেলা থাকলেও তিনি রোজা রেখেই এই ম্যাচগুলোতে খেলে থাকেন।
একটি সাক্ষাৎকারে তাকে তার এই রোজা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘রোজা রাখলে আমার ওপর এটির প্রভাব অবশ্যই পরে, তবে তা ইতিবাচকভাবে!
আমি যখন সকলকে বলি যে আমি রোজা রেখে ম্যাচ খেলেছি, অনেকেই আমার কথা বিশ্বাস করতে চায় না। তারা ভাবে আমি মজা করছি। এরকম বহুবার হয়েছে যে আমি ডারবানের গ্রীষ্মকালে ব্যাটিং করছি, এবং মনে মনে ভাবছি যে ‘আমি এখনই আউট হয়ে যাব। আমি আর পাড়ছি না।
তবে প্রত্যেকবারই আলহামদুলিল্লাহ্ আউট না হয়ে আমি বড় একটি স্কোর করি। আমি এটা থেকে যা শিখতে পেরেছি তা হল যে আমাদের শরীরের ক্ষমতাকে মাঝে মধ্যে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল এই হাশিম আমলার। তার দাদা দাদীরা ভারতের গুজরাট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন এবং ১৯৮৩ সালে ডারবানে শিশু হাশিমের জন্ম হয়।
সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বড় হওয়া হাশিম সবসময়ই ইসলামের প্রতি অনুগত। ২০০২ সালে তাকে বয়সভিত্তিক দলের অধিনায়ক বানানো হয়েছিল, এবং তার প্রতিভা এই সিরিজে খুব ভালোভাবেই প্রকাশ পায়।
এরপর মাত্র দুবছরের মাথায় তার অভিষেক হয় ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে। এরপর থেকেই তার এই উর্ধগতি। আইপিএলে নিয়মিত এই তারকা খেলোয়াড় বেশ কয়েকবারই রানের তালিকায় শীর্ষ ১০ এ ছিলেন। বর্তমানে বেশকিছু দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বেশকিছু টি টোয়েন্টি লিগে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এই হাশিম আমলা।
তবে তার জনপ্রিয়তা যাই হোক না কেন, তিনি বলেছেন যে তিনি সবসময় আল্লাহ্ এবং ইসলামকে তার ক্যারিয়ারের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবেন।
তার কথা মতে, আল্লাহ হচ্ছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা। একটি সামান্য খেলার জন্য তো আর আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে “না” বলা যাবে না বরং সবসময় আল্লাহকে খুশি করতে হবে।
নারীরা কি নামাজের ইমামতি করতে পারে?