আওয়ার ইসলাম: রাখাইন রাজ্যের ইন দিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। সরকারের মুখপাত্র জ হাতেয় আজ (রোববার) বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাত সেনা, তিন পুলিশ ও ছয়জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরণের ব্যবস্থা নেয়া তা স্পষ্ট করেন নি তিনি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা এ পর্যন্ত হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করলেও এ জন্য কাউকেই বিচারের সম্মুখীন করা হয় নি এবং অপরাধ সংঘটিত হওয়ার কথাই তারা স্বীকার করছে না।
আর এখন ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যার বিচারের কথা বলা হচ্ছে, কারণ এ ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেছে এবং প্রামাণ্য প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সরকারি মদদে হত্যাকাণ্ড না ঘটে থাকলে সরকার রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাগারে আটক রাখতো না বলে তারা মনে করেন। রোহিঙ্গারাও বলছেন, সরকার এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে চাচ্ছে।
মিয়ানমারে ইন দিন গ্রামে গণহত্যার ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণে রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লো এবং চ সো উ-কে গত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস তাদের মুক্তি দাবি করেছেন।
রয়টার্স গত শুক্রবার প্রকাশিত অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো বৌদ্ধ গ্রামবাসীরা রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, মুসলমানদের হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার কথা স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, গ্রামবাসী আর রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে রয়টার্স বলছে, বৌদ্ধ প্রতিবেশীদের হাতে কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখার অল্প সময় পরই সেই কবরে একসঙ্গেই ঠাঁই হয় ১০ রোহিঙ্গার।
এইচজে