আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব থেকে ভারমুক্ত হয়ে পূর্ণ মহাসচিব হচ্ছেন মাওলানা আবদুল কুদ্দুস।
আগামী সোমবার জামিয়া ইমদাদিয়া ফরিদাবাদে অনুষ্ঠিতব্য বেফাকের কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্তই নেয়া হবে বলে একাধিক সূ্ত্রে জানতে পেরেছে আওয়ার ইসলাম।
২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর শুক্রবার বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদীর ইন্তেকাল হলে জামিয়া ইমদাদিয়া ফরিদাবাদের প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস মাওলানা আবদুল কুদ্দুসকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়। এতদিন তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জানা যায়, মহাসচিব হিসেবে একাধিক ব্যক্তির নাম সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনায় থাকলেও মাওলানা আবদুল কুদ্দুসই সবার পছন্দের শীর্ষ রয়েছেন। সে হিসেবে আগামী সোমবার থেকেই তিনি পূর্ণ মহাসচিবের দায়িত্ব পেতে চলেছেন।
কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উলামায়ে কেরামকে এক প্লাটফরমে ঐক্যবদ্ধ করাসহ ১১ টি লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৮ সালে গঠিত হয় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত কওমি মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নসহ জাতীয় নানা সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে বেফাক।
বেফাকের প্রতিষ্ঠাকালিন মহাসচিব ছিলেন জামিয়া রাহমানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ.। এরপর মাওলানা আতাউর রহমান খান, মুফতি রুহুল আমিন (সাময়িক) এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া মাওলানা আবদুল জব্বার দীর্ঘ ২৭ বছর বেফাকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ মৃত্যু অবধি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তার ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের ফলেই বেফাকে যুক্ত হয় শহর গ্রামের অসংখ্য মাদরাসা।
এছাড়াও তার পরিশ্রমের কারণেই সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা, সিলেবাস প্রণয়নসহ প্রশাসনের যোগাযোগ রক্ষা ও সরকারি স্বীকৃতি আদায়ে তার ভূমিকা অতুলনীয় হয়ে রয়েছে আলেমদের কাছে।
কাল ঢাকায় আসছেন আল্লামা আহমদ শফী