আওয়ার ইসলাম: ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের কোনো দেশেরই এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত হবে না যাতে প্রতিবেশী কোনো দেশ হুমকি অনুভব করে।
গতকাল বুধবার ইরান সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। এসময় তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জোরদার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আঞ্চলিক দেশগুলোর স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক সীমান্ত রক্ষার মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে। আমাদের এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত যাতে কোনো দেশ হুমকি অনুভব না করে।”
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “উত্তর ইরাকে পরাজিত হওয়ার পর দুর্ভাগ্যক্রমে আজকে কিছু দেশ উত্তর সিরিয়ার ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করছে।”
বৈঠকে হাসান রুহানি ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এর ফলে সিরিয়ার ঐক্য ফিরিয়ে আনা যাবে এবং সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।
এছাড়া, আঞ্চলিক সঙ্কট সমাধানে রাশিয়ার সোচি শহরে গত ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। এ অঞ্চলের চলমান সঙ্কট দীর্ঘায়িত করার বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মার্কিন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বৈঠকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান ও তুরস্কের মধ্যকার বেড়ে চলা সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য আমেরিকা এ অঞ্চলে নতুন ষড়যন্ত্র করছে। মার্কিন ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য তেহারন ও আংকারার মধ্যে সক্রিয় সহযোগিতা জোরদার করা জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চাভুসওগ্লু বলেন, “আমরা মনে করি আঞ্চলিক দেশগুলোর ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত।
এইচজে