শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ভিন্নখাতে পরিচালিত হচ্ছে তাজিকিস্তানের ২০০০ মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তাজিক ধর্ম বিষয়ক কমিটির প্রধান হোসেন শোকরোফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "কোন অনুমোদন ছাড়াই ২০০০ মসজিদে ধর্মীয় কাজের পরিবর্তে পাবলিক প্লেস যেমন ক্যাফে, হেয়ারড্রেসার্স, স্বাস্থ্য ক্লিনিক এবং কিন্ডারগার্টেনে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

৫ম ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন: এসকল মসজিদ অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে। যারা এসকল মসজিদ নির্মাণ করেছে আমরা তাদেরকে আমরা মসজিদের দস্তাবেজ নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছি, কিন্তু তারা তা করেননি। এখন সরকার এসকল মসজিদ দখল করেছে অথবা পাবলিক প্লেসে পরিণত হয়েছে।
তাজিকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ৩৯০০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মসজিদ সক্রিয় রয়েছে।
তাজিকিস্তানের আইন অনুযায়ী, মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব জনগণের হলেও মসজিদ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের। এছাড়াও মসজিদের ইমামগণ নিয়মিতভাবে মসজিদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খুতবা প্রদানের জন্য সরকারের নিকট থেকে অনুমোদন নেয়। এব্যাপারে যারা সরকারের সহযোগিতা করবে না তাদেরকে পদচ্যুত করা হবে।
২০১৪ সাল থেকে তাজিকিস্তানের মসজিদসমূহের পেশ ইমামগণ সরকারের নিকট থেকে বেতন গ্রহণ করে আসছে। গতমাসে মসজিদের পেশে ইমামদের উদ্দেশ্যে তাজিকি সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা যেন তাদের মাসিক আয় এবং সম্পদের পরিমাণ ঘোষণা করে।
২০১০ সালে মসজিদে জনগণের উপস্থিতি কমানোর জন্য তাজিকি সরকার বিশেষ নীতি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করেছে। প্রথমে মসজিদে নারীদের উপস্থিতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং পরবর্তীতে ১৮ বছরের নীচে যুবকদের মসজিদে উপস্থিত হতে নিষেধ করেছে।
তজিকি সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্মীয় স্থানসমূহ নিয়ন্ত্রণ করা। সরকারের এধরণের নীতির কারণে অনেক স্থানের মুসল্লিদের কয়েক কিলোমিটার হেটে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হয়।
এজন্য জনগণ অসন্তুষ্ট হলেও এখনও পর্যন্ত কোন স্পষ্ট প্রতিবাদ করেনি।
তাজিকিস্তানের সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের একটি দেশ। সেদেশে প্রায় ৮ মিলিয়ন নাগরিক রয়েছে এবং অধিকাংশ নাগরিক মুসলমান। দেশটির প্রেসিডেন্ট আমামলী রাখমোহন একজন ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি।

আমামলী রহমান ১৯৯২ সালে ক্ষমতায় আসে এবং তখন থেকে দেশ শাসন করে আসছে।
মুসলিম প্রধান এই দেশে বিভিন্ন অজুহাতে ইসলামী মূল্যবোধ এবং প্রতীক বিরোধিতা করা হচ্ছে। যেমন: সরকারী প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞা আরোপ, পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং ইসলামি পোশাক পরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষা প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ধর্মীয় ও কুরআনের ক্রিয়াকলাপের সীমাবদ্ধতা করা হয়েছে।

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ