আওয়ার ইসলাম: একজন ইরাকি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা এসোশিয়েটেড প্রেস- এপি খবর দিয়েছিল, দ্বিপক্ষীয় এক সমঝোতার ভিত্তিতে মার্কিন সরকার ইরাক থেকে নিজের সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করেছে।
এমন খবর দেয়ার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটন ও বাগদাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা অস্বীকার করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন।
এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, অদূর ভবিষ্যতে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের নেই। এ ছাড়া, ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য দেশটিতে অতিরিক্ত মেয়াদে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার ব্যাপারেও দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
ইরাক যুদ্ধে একের পর এক পরাজয় ও ব্যর্থতার কারণে ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অজুহাতে ২০১৪ সালে কথিত একটি আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্বে মার্কিন সেনারা আবার ইরাকে প্রবেশ করে।
গত শনিবার ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের আল-বাগদাদি এলাকায় মার্কিন বিমান হামলায় ২০ ইরাকি নাগরিক হতাহত হওয়ার পর দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি আবার জোরদার হয়েছে বলে জানা যায়।
এইচজে