আবদুল্লাাহ তামিম: নাইজেরিয়ান মুসলিম নারীরা দেশটিতে নানারকম বঞ্ছনার শিকার হন। এসব বৈষম্য দূর করতে তারা আন্দোলন করছেন। বিশেষ করে যারা হিজাব পরেন তাদেরকে ভিন্নদৃষ্টিতে দেখা হয়। তারা সরকারের প্রতি এ বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান।
আল-মু'মিনাত (নাইজিরিয়ায় মুসলিম নারীদের একটি সংগঠন) মুসলিম মেয়েদের উপর নির্যাতন, হয়রানি, নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
নিয়ামতউল্লাহ আবদুল কাদরি নামের এক মুসলিম নেতা বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবসে আমরা ‘আমার হিজাব, আমার অধিকার’ এই স্লোগানকে আমাদের ধর্মীয় অধিকার হিসেবে সরকারের কাছে আবেদন করবো যেনো নারীদের উপর সমস্ত নিপীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ করা হয়।
বিশ্ব হিজাব দিবস, ২০১৩ সালে সামাজিক কর্মী নাজমা খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি বার্ষিক দিবস, প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি ১৪০ টি দেশের মুসলিম নারীর প্রতি বৈষম্য ও হয়রানির মত চ্যালেঞ্জের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এই দিবস।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালে নাইজেরিয়াতে মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপিল করে মুসলিম শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। দীর্ঘ শুনানি শেষে দেশটির কোর্ট অব আপিল সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়।
আবার ২০১৭ অক্টোবরে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা বা শর্ত ছাড়াই মুসলিম মেয়ে শিশুদের হিজাব পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সমস্ত উপায় অনুসন্ধানের জন্য নাইজেরিয়ার ‘লাগোস’ রাজ্যের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুসলিম শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। এর পর হিজাব পরায় কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিলো না।
কিন্তু ইদানিং কিছু নারী, হিজাবের বিরুদ্ধে নামায় বৈষম্যমূলক আচরণ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে।
সূত্র: দ্য মুসলিম নিউজ