শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ভারত নয়, আমার বন্দিদশার জন্য দায়ী পাকিস্তান; সাঈদের নতুন সুর!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারত-আমেরিকার সাঁড়াশি চাপে তাঁর বিরুদ্ধে সবেমাত্র ছোটখাটো পদক্ষেপ করা শুরু করেছে পাকিস্তান। আর তাতেই যেন গর্জে উঠলেন হাফিজ।

তাঁকে গৃহবন্দি করার জন্য যে সুর এতদিন ভারতের বিরুদ্ধে বাজত, তা আজ বেজে উঠল খোদ ‘আশ্রয়দাতা’র বিরুদ্ধেই! দাবি করলেন, তাঁকে গৃহবন্দি রাখার পিছনে কোনও হাতই নেই ভারতের। পাক সরকারই তাঁকে বন্দি করে রেখেছিল।

গতকাল শুক্রবার নাজিরা পাকিস্তানি ট্রাস্টের এক সভায় প্রকাশ্যেই এ কথা বলেন ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী এবং লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ। পাক সরকার কাশ্মীরি মানুষের কথা ভাবছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ওই সভায় হাফিজ বলেন, ‘‘মোদী সরকার নয়, আমাদের পাক সরকারই আমাকে ১০ মাস গৃহবন্দি করে রেখেছিল। তারা চায় না আমি কাশ্মীরের মানুষের জন্য লড়াই করি। কাশ্মীরি মানুষের আত্মত্যাগকে তারা অবমাননা করছে। কাশ্মীরিদের সমস্যা নিয়ে সরব হচ্ছি বলে পাক সংবাদমাধ্যমও আমাকে জঙ্গি বলেছে, এতে আমি ভীষণ আঘাত পেয়েছি।”

মুম্বই হামলার মূল চক্রী বলে খ্যাত সাঈদকে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান আশ্রয় দিয়ে আসছে। ভারত-আমেরিকার প্রবল চাপ সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পাক সরকার। উপরন্তু বরাবরই তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে গিয়েছে। সম্প্রতি সে দৃশ্যের খানিকটা রদবদল হয়েছে।

মার্কিন চাপের ফলে হাফিজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে পাক সরকার। সে দেশের সব উর্দু সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকার জানিয়ে দেয়, হাফিজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ওই বিজ্ঞাপনে হাফিজের লস্কর ই তইবা, জামাত উদ দাওয়া, ফালাহ ই ইনসানিয়তকে জঙ্গি সংগঠন বলেও উল্লেখ করা হয়।

তবে এটা যে আমেরিকার কাছে সন্ত্রাস দমনের একটা বার্তা ছিল মাত্র, আদতে হাফিজের প্রতি আগের মতোই সহানুভূতিশীল সে দেশের সরকার, তা বেশ বোঝা যায়।

এমন বিজ্ঞাপন দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই পাক প্রধানমনন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি তাঁকে ‘সাহেব’ সম্বোধন করেন এবং ইসলামাবাদের চোখে তাঁকে সম্পূর্ণ ‘নিরাপরাধ’ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতে যে ‘সাহেব’এর গোঁসা কমেনি তার প্রমাণ মিলল এ দিন।

আনন্দবাজার পত্রিকা

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ