আওয়ার ইসলাম, ডেস্ক: মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি সৌদি আরবে আটক হওয়া সকল রাজবন্দী। সম্প্রতি দূর্নীতির অভিযোগে সৌদি আরবে রাজ পরিবারের প্রিন্স, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
গতকাল মঙ্গলবার এ আটটক বন্দীদের মুক্তির কথা জানিয়েছেন এক সৌদি কর্মকর্তা। খবর দ্য হারেৎস ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সমপ্রতি প্রিন্স আল ওয়ালিদকে মুক্ত করে দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে এক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সৌদি আরবের প্রায় ২০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত তাদের রিয়াদের রিটজ কার্লটন হোটেলসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে বন্দি করে রাখা হয়।
তাদের গ্রেপ্তারের সময় তদন্তকারীরা জানিয়েছিল, তাদের প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার অবৈধ সমপত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্দেশ্যে এক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক সৌদি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রিটজ কার্লটন হোটেলে আর কোনো বন্দি নেই। তবে সৌদি আরবের ভিন্ন কোনো জায়গায় কাউকে বন্দি করে রাখা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।’
এদিকে রোববার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে এই অভিযান শুরুর আগে সৌদি আরবের বাদশা সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির অভিজাত সমপ্রদায়ের কাছে সরকারি অর্থ তহবিল বৃদ্ধির জন্য তাতে অনুদানের এক বিশেষ অনুরোধ করেন।
কিন্তু তাদের অনুরোধে তেমন সাড়া না মেলায় ক্রাউন প্রিন্স ওই অভিজাতদের রিটজ কার্লটন হোটেলে আসতে প্রলুব্ধ করেন। আর তারা সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
এদিকে শনিবার মুক্তি পাওয়ার আগে রিটজ কার্লটন হোটেলে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স আল ওয়ালিদ বলেন, বন্দি অবস্থায় তার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাকে মূলত একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্দিদশায় তাকে আরামদায়কভাবে জীবন যাপনের জন্য মোটামুটি সব সুবিধাই দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রিটজ কার্লটনে মোট ৪৯২টি অতিথি কক্ষ ও স্যুইট রয়েছে, পাশাপাশি ৫২ একরজুড়ে একটি বাগানও রয়েছে। হোটেলটি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মধ্য-ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে।
এসএস/