নকীব মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ
আজ বাদে কাল অমর একুশে বইমেলা’১৮ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারো অনেকের বই প্রকাশ পাবে। কারো উপন্যাস, কারো হয়ত গল্প,ছড়া-কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ বা থ্রিলার ইত্যাদি গ্রন্থ। প্রবীণদের সাথে নবীনদেরও অনেক বই প্রকাশ পাবে।
কথা সেটা নয়, কথা হলো- প্রবীণদের প্রায় সবাই হয়ত প্রকাশনীর খরচে বই বরে করেন। আবার কেউবা নিজ খরচেই বের করে থাকেন।
তো আপনার/আমার অসংখ্য বন্ধুর প্রথম কিংবা প্রাথমিক লগ্নের সৃষ্টি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে, শুনে আপনি/আমি হয়তো অপেক্ষা করছি বন্ধুত্বের খাতিরে সৌজন্য কপি পাওয়ার আগ্রহে ।
অর্থের বিচারে এটা সংকীর্ণ না হলেও চিন্তার বিচারে একজন লেখকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য এটা মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে । প্রকাশনা শিল্প সম্পর্কে যারা জানেন তারা অবশ্যই অবগত যে, নতুন কোন লেখকের পান্ডুলিপি অর্থ ছাড়া প্রেসে যায় না ।
মাত্র ১০০ কিংবা ততোধিক মূল্যের একখানা বই ক্রয় করতে আপনাকে কোনভাবেই সমস্যার সম্মূখীন হতে হয় না কিন্তু একজন লেখককে যদি তার ৫০ থেকে ১০০ জন বন্ধু, সহপাঠী, অগ্রজ-অনুজকে সৌজন্য কপি বিলিয়ে খুশি রাখতে হয় তবে লেখকের ইচ্ছাশক্তি মুকুলে ধাক্কা খায় এবং অমিত সম্ভাবনার ইতি ঘটে ।
মনে রাখা উচিত, ইতিহাসের কোন পরতেই সাহিত্য চর্চার সাথে ধণী/অভিজাতরা(কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত) সম্পৃক্ত হয়নি । মধ্যবিত্ত কিংবা গরীব শ্রেণীকেই সাহিত্য বেশি টানে ।
নোট:
কোন ভাই-বোন যদি সৌজন্য কপি নেওয়ার ইচ্ছে থেকেই থাকে, তবে আপনি লেখক থেকে বইয়ের মূল্য পরিমাণ টাকাটা নিয়েই আপনি কিনুন। এতে লেখক কমপক্ষে সৌজন্য কপি নামক অসভ্য আবদার থেকে হলেও কম কষ্ট পাবেন।
লেখককে প্রেরণা দিন, বই কিনুন । বই পড়ুন, আলোকিত জীবন গড়ুন ।
লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে
এসএস/