আওয়ার ইসলাম : জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ও মেয়াদ বাড়তে পারে। এবার সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা পঞ্চাশ থেকে বাড়িয়ে ষাটে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মেয়াদ করা হতে পারে ২০ বছর। এ সংক্রান্ত আইনের একটি খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদে তা পাস করা হবে।
সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি করতে এনিয়ে তিন দফা সংবিধানে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর আগে ২০০৪ ও ২০১১ সালে দুই দফা সংসদে নারী আসনের সংখ্যা বাড়াতে সংবিধানের সংশোধনী আনা হয়। বর্তমানে ৩০০ জন সংসদ সদস্য প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারের সরাসরি ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত খসড়ায় বর্ধিত সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদও ১০ বছরের জন্য বাড়ানো হবে। ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে নারী আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। এর মেয়াদ ছিল ১০ বছর। কিন্তু চলতি সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ৫ বছরের জন্য শপথ নিয়েছে সেহেতু মেয়াদ শেষ হলেও তাদের ক্ষেত্রে কোন আইনগত বাধা নেই।
তবে আগামী সংসদে নারী আসনে নিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হলে তখন মেয়াদের বিষয়টি আসবে। আর এ কারণেই আগে থেকেই মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বন্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন এর মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছিল পরবর্তী সংসদের (নবম সংসদ) প্রথম বৈঠক থেকে দশ বছর।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ রয়েছে। ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নারী সদস্যদের সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ এ উত্তীর্ণ করা হয়। কিন্তু এর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ফলে সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান অব্যাহত রাখতে সংবিধানে আনা হচ্ছে সপ্তদশ সংশোধনী। ইত্তেফাক।