আওয়ার ইসলাম : গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মিয়ানমার যেভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে, তাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ পুরোপুরি লঙ্ঘিত হয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি সীমান্তও পাহারা দিতে হবে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সেমিনারে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। ‘জাতিগত নিধন: প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউটের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণের মতো ভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে। আরও লোকজন আসছে, এটাকে কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না? এটা রুখতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া দরকার। সীমান্তে শক্ত অবস্থান নেওয়া দরকার, আর একজনও যেন না আসে।’
গণফোরামের সভাপতি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে রেখে মানুষ হিসেবে তাদের প্রাপ্য সব অধিকার দেওয়া অসম্ভব। তাদের স্থায়ীভাবে রাখতে গেলে তাদের মানবাধিকার রক্ষা হবে না। আমলাতান্ত্রিক কায়দায় যে চুক্তি হয়েছে তা কার্যকর করতে কয়েক মাস লাগবে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারকে জানিয়ে দিতে হবে, বাংলাদেশ এত দুর্বল নয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ বি এম বায়েজিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়নকর্মী মো. জামাল উদ্দিন। এ সময় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।