আওয়ার ইসলাম : ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মুহাম্মদ নাম। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্রিটেনে শিশুদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মুহাম্মদ নামটি। আর জার্মানিতে জনপ্রিয়তায় মুহাম্মদ নামের অবস্থান ২৬তম। খবর ডেইলি মেইলের।
জার্মানির ব্রেইবার্ট পত্রিকা জানাচ্ছে, দেশটিতে আরবি নাম জনপ্রিয় হওয়ার একটি কারণ হচ্ছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। ফলে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় নামের তালিকায় ৯৭তম থেকে ২৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে এই নামটি।
এদিকে সোসাইটি ফর জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ (জিএফডিএস)বলছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে মুহাম্মদ নামটি শীর্ষ দশটি জনপ্রিয় নামের একটি হয়ে উঠতে পারে।
তারা জানাচ্ছে, ২০১৫ সালে মুহাম্মদ নামটি জার্মানিতে জনপ্রিয় নামের তালিকায় ৪১তম ছিল। যা ২০১৬ সালে ২৬-এ দাঁড়ায়। তবে এসময় মুহাম্মদ নামের ভিন্ন ভিন্ন বানানকে (যেমন মোহামাদ, মোহামেদ, মেহমেত ইত্যাদি) বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
তবে এসময় বানান যদি বিবেচনায় নেয়া হতো তাহলে মুহাম্মদ নামের অবস্থান আরও উপরে থাকতো।
অস্ট্রিয়ান পত্রিকা ক্রোনেন জেইতাঙ এ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন বানানের নামগুলোর তালিকার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মুহাম্মদ নামটি দেশটিতে জনপ্রিয়তার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
তবে জার্মানিতে ২০১৭ সালের ছেলে শিশুদের নাম আরও কয়েক মাস পর প্রকাশ পাবে।
জার্মানিতে অভিবাসীদের ঢেউ এর বড় কারণ বলে মনে করেন জিএফডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্দ্রেয়া এওয়েলস।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২১-২০২২ সাল নাগাদ মুহাম্মদ নামটি জার্মানিতে শীর্ষ দশটি জনপ্রিয় নামের একটি হবে।
যুক্তরাজ্যে এক জরিপে দেখা গেছে, মুহাম্মদ নামটি লন্ডনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম। আর যুক্তরাজ্য জুড়ে এর অবস্থান দ্বিতীয়।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, ২০১৫ সালে মোহাম্মেদ, মুহাম্মেদ, মোহাম্মদ বা মোহামেদ নামে সাত হাজার ৩শ ৬১ জন শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন বানান বিবেচনায় নেয়া হলে এটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতো।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে জনপ্রিয় নামের তালিকায় এটির অবস্থান ৩৫২তম। ওই আমেরিকায় জন্ম নেয়া ৯৫৮ জন শিশুর নাম রাখা হয়েছে মুহাম্মদ। তবে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল যে জোট গঠন করতে যাচ্ছেন সেখানে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বছরে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ ২০ হাজারের মধ্যে রাখতে বলা হয়। আরটিভি।