বশির ইবনে জাফর
বিশেষ প্রতিবেদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ কতৃক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, কিভাবে একজন ছাত্রী অন্য একজন ছাত্রীর কাপড় খুলে নিতে পারে! এটা কী ধরণের সভ্যতা ও রাজনীতি!
এ ধরনের নির্লজ্জ বেহায়াপনা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কবল থেকে জাতি মুক্তি চায়। যে রাজনীতি মানুষের বস্ত্রহরণ করে, যে রাজনীতি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয় এ রাজনীতি কারো কাম্য হতে পারে না। রাজনীতি হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্য।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তান্ডবে দেশবাসী আজ চরম উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে যে কেউ কর্মসূচি পালন করতেই পারে এটা একটা স্বাধীন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু এভাবে নিলর্জ্জতার পরিচয় দিয়ে নারীর বস্ত্রহরণ করা কোন ধরণের সংস্কৃতি! শিক্ষাঙ্গণে ছাত্রীদের চুলের মুটি ধরে টানা-হেঁচড়া করা কী ধরণের সভ্যতা!
আর এই ঘটনা ঘটেছে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং উপমহাদেশের শিক্ষাঙ্গণের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায়।
তিনি বলেন, খুব অচিরেই এ ধরণের রাজনীতির অবসান হওয়া উচিত। মানবতার চরম অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ এ রাজনীতি। ইসলাম এ ধরণের রাজনীতিকে কখনো সমর্থন করে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।