শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

মোসাদ গোয়েন্দাদের ভয়ংকর হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন হামাস নেতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: লেবাননে বসবাসরত হামাস নেতা মুহাম্মাদ আবু হামজা হামদানকে হত্যার জন্য গত ১৪ জানুয়ারি গাড়িবোমা হামলা চালায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন লেবাননে বসবাসকারী হামাসের এ নেতা; ওই হামলায় তিনি সামান্য আহত হন।

লেবাননের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দারা কঠোর তদন্তের মাধ্যমে ওই গুপ্তচরকে ৩৮ বছর বয়সী আহমাদ বাইতিয়া বলে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন।

লেবাননের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাইতিয়াকে নিয়োগ দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তরচর সংস্থা মোসাদ এবং সে লেবানন ও নেদারল্যান্ডে যখন তখন ভ্রমণ করতে পারত। হামাস নেতাকে হত্যার মিশন নিয়ে বাইতিয়া নেদারল্যান্ড থেকে বৈরুতের রফিক হারিরি বিমানবন্দরে পৌঁছায় গত ৯ জানুয়ারি।

পরে সে বৈরুতের ওয়াটার ফ্রন্ট সিটিতে এক সপ্তাহের জন্য একটি বাসা ভাড়া নেয় এবং বৈরুতে পৌঁছার দিনই ত্রিপোলি শহরে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আবার রাজধানীতে ফিরে আসে।

হামলাকারী চক্রের প্রধান হিসেবে ছদ্মবেশে বাইতিয়া কয়েকবার সিডন শহরে যায় এবং কঠোরভাবে হামাস নেতা হামদানের বাড়ির ওপর নজর রাখে। ১১ জানুয়ারি এ গ্রুপ হামদানের ওপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত করে। লেবাননের তদন্তকারীদের ভাষ্যমতে- বাইতিয়া ও তার সহযোগীরা ১৪ জানুয়ারি আবার সিডন শহরে যায় এবং তাদের একজন রাত সাড়ে তিনটার দিকে হামদানের গাড়ির ড্রাইভিং সিটের নিচে বিস্ফোরক পাতে।

এরপর সন্ত্রাসী চক্র হামদানের বাড়ি থেকে বের হওয়া ও গাড়িতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরে সকালে হামদান বাড়ি থেকে বের হন এবং গাড়িতে ওঠার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই ইসরাইলি এজেন্টরা ওই এলাকা ছেড়ে রাজধানী বৈরুতে চলে যায়।

বিস্ফোরণে হামদান তার পায়ে আাঘাত পান এবং তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণে হামদানের গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্স্ত হয় এবং পাশের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুনে নেভান।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ