রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
১৮৪০ সালে যশোর রোডের নির্মাণ কাজ শুরু করেন যশোরের তখনকার জমিদার কালী পোদ্দার। ১৮৪৪ সালে সড়ক নির্মাণ শেষ হয়। এরপর তিনি রাস্তার দুধারে সারি সারি গাছ লাগান ছায়ার জন্য।
বাংলাদেশ অংশে তার লাগানো প্রায় ১৮০ বছর বয়সী গাছ আছে কয়েকটি তারও ২৫০ বছর প্রাচীন। রেইনট্রি, শিশু ও কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার গাছ এই রোডকে বিখ্যাত করে তুলেছে।
সম্প্রতি সড়কটি চার লেনে সম্প্রসারণের জন্য রেইনট্রি, শিশু ও কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তারই পরেই শুরু হয় প্রতিবাদ। এই খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পরিবেশবাদী ও সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে সরকারের সমালোচনা করেন সোসালিস্ট বুদ্ধিজীবি এবং আপামর সাধারণ নাগরিক।
গাছগুলো কাটলে তা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এই আশঙ্কায় পরে সরকার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত চিঠি আসে যশোরে। তবে আপাতত ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি মেরামত ও মজবুত করা হবে। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
আপাতত সরকার জানিয়েছে, সবুজ বাঁচিয়ে রেখেই যশোর রোড সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া চালু থাকবে। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সংশোধিত এই প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু করবে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ