ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ থাকার পর তা আবার চালু করতে সম্মত হয়েছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের নেতারা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক স্কুমার এই ইস্যুতে দুই দলের একমত হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালুর জন্য ভোট দেবো।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট বাড়ানো সংক্রান্ত একটি বিলে সিনেটররা একমত হতে না পারায় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে শাটডাউন বা অচলাবস্থা তৈরি হয়।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, বাজেট নিয়ে সিনেটরদের বিভক্ত হয়ে যাওয়ার মূলে রয়েছে অভিবাসন নীতিতে প্রস্তাবিত পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের সামাজিক সুরক্ষায় সাবেক ওবামা প্রশাসন ঘোষিত ‘ড্রিমার কর্মসূচি’ পরিচালনায় বরাদ্দ অর্থ নিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয় সিনেট।
ডেমোক্র্যাট দলের চারটি সূত্র জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ম্যাককনেল ও অন্যান্য রিপাবলিকান নেতাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এবারে অচলাবস্থা নিরসনে একমত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগে ‘না’ ভোট দেওয়া অন্তত তিন জন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর অস্থায়ী বাজেট বিলে এখন ‘হ্যাঁ’ ভোট দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো। শাটডাউনের পর প্রথম কর্মদিবসের কয়েক ঘণ্টা পর এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মার্কিন অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। তার আগেই বাজেট অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রায়ই কংগ্রেস তা পাস করতে ব্যর্থ হয়। সে কারণে গত বছরের অর্থ বরাদ্দ চালু রাখতে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে অস্থায়ীভাবে তহবিল জোগান দিতে হচ্ছে। এবার সে বিষয়ে সম্মত হতে না পারায় শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় মার্কিন সরকারের বিভিন্ন দফতর।
রিপাবলিকার সিনেটর লিন্ডসি গ্রাহাম বলেন, ‘নীতি নির্ধারণের জন্য সরকার বন্ধ করে দেওয়া সঠিক পথ বলে আমি মনে করি না। যখন আমরা এটার চেষ্টা করি, তা আমাদের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসেনি’G
তিনি আরও বলেন, ‘আমার অনুমান, অভিবাসন বিষয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি করলে আমরা ডিএসিএ (ড্রিমার প্রকল্প) পক্ষে ৬০ ভোট পাব। মার্চের ৫ তারিখে তাদের জীবন ধ্বংস হবে না’। খবর বাংলা ট্রিবিউন।
এসএস/